Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ওভার কনফিডেন্সে’র কারণে করোনা বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


২৯ নভেম্বর ২০২০ ২২:২৯

ঢাকা: ওভার কনফিডেন্সের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। এর প্রথম কারণ হলো আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। আমরা বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করছি, আমরা মাস্ক পরছি না। আমরা বেশি কনফিডেন্ট হয়ে গেছি।’

রোববার (২৯ নভেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা এবং ভ্যাকসিন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) এই সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শীতকালে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখ লাখ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকে সংক্রমণ বাড়ছে। এছাড়া শীতকালে বিভিন্ন রকম রোগবালাই হয়। এ রোগ বালাইয়ের কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। লাখে লাখে রোগী হাসপাতালে গেলে পৃথিবীর কারও সক্ষমতা নেই নিয়ন্ত্রণ করার, বাংলাদেশেরও নেই। তাই সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ কারণে জরিমানা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু বাড়ছে, একইসঙ্গে সব মোকাবিলা করা জটিল, তবে এদিকে নজর রাখতে হবে।’

করোনার প্রথম দিকে এর প্রতিকার সম্পর্কে কেউ জানতো না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা চিকিৎসা পদ্ধতি অনেকবার পরিবর্তন করেছে। প্রথমদিকে বলা হলো ভেন্টিলেটর অনেক লাগবে কিন্তু সেভাবে লাগেনি। আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাই ফ্লো ক্যানোলা প্রয়োজন ছিল, ল্যাবের প্রয়োজন ছিল। ল্যাব একটি থেকে ১১৮টি ল্যাব হয়েছে, এখন ১৭ হাজার পর্যন্ত টেস্ট হচ্ছে। আমরা সবকিছুর ব্যবস্থা করেছি খুব দ্রুত সময়ে।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে ইউরোপ আমেরিকা দেখেন, পাশের দেশ ভারতে দেখেন। উন্নত দেশে প্রতি ১০ লাখে হাজারের মতো মারা গেছে। আমাদের এখানে ৪৫-৪৮ এর মতো। আমাদের অর্থনীতি গ্রোথ রেট ধরে রেখেছে, অনেক দেশ মাইনাসে চলে গেছে। একটি মানুষও না খেয়ে মরেনি। কোনো উন্নয়ন থেমে নেই। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে পুরোপুরি করতে পারিনি।’

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যেভাবে প্রথম সংক্রমণ মোকাবিলা করেছেন; একই সঙ্গে কোভিড, নন কোভিড ও ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক একইভাবে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ মোকাবিলায় কাজ করবেন। একই সঙ্গে কোভিড, নন কোভিড ও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি রাখতে হবে। এখন থেকে সেই প্রস্তুতি নেন।’

এছাড়াও বক্তব্যে টেলিমেডিসিন সেবা বাড়ানোর পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিপিএমসিএ সভাপতি এমএ মুবিন খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। যদি পরিস্থিতি খারাপ হয় তাহলে পার্টনারশিপ হতে পারে। অথবা সরকার যেভাবে পছন্দ করে।’ এসময় সিটিস্ক্যান মেশিনসহ করোনায় অপরিহার্য যন্ত্রপাতি ডিউটি ফ্রি করা এবং এন্টিজেন-এন্টিবডি কিট আমদানির সুযোগ দিলে রোগীরা বিশাল রিলিফ পেতে পারে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনা রোগীরা একেবারে শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন। অনেকে প্রথমে স্বীকার করতে চাইছেন না। আমার মনে হয় প্রথম দিকেই হাসপাতালে এলে মৃত্যুহার আরও কমানো সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান গাজী মিজানুর রহমান, নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন, রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান, নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান এম এ মুকিতসহ অন্যরা।

করোনাভাইরাস জাহিদ মালেক মৃত্যুর হার সংক্রমণ

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর