করোনায় কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের ঝুঁকিভাতা দেওয়া উচিত
২৯ নভেম্বর ২০২০ ২৩:৪৯
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন, করোনার এই মহামারী ক্রান্তিকালে গণমাধ্যম কর্মীরা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা। তারাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করে জনগণকে সচেতন করার কাজটি ভালোভাবেই করে আসছেন। ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক মারাও গেছেন। অথচ তাদের বিষয়টি তেমনভাবে কেউ ভাবছে না। আমি মনে করি, বাংলাদেশে গণমাধ্যমে কর্মরতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল এবং ঝুঁকি ভাতা সহ প্রণোদনা অবশ্যই দেওয়া উচিত।
রোববার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গণমাধ্যম ও বেসরকারি হাসপাতালের ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। অনুষ্টানটির আয়োজন করে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ ।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, গণমাধ্যমের উচিত, চিকিৎসার অব্যাবস্থাপনা যদি থাকে সেগুলোকে তুলে ধরার পাশাপাশি চিকিৎসকদের ভালো ভূমিকাগুলোও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা। নচেৎ মানুষ বিভ্রান্ত হবে। আমি অনুরোধ করব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংবাদমাধ্যমে কর্মরতদের যেন টিকার আওতায়ও আনা হয়। বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
অনুষ্টানে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন খান এমপি বলেন, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আমরাই বেসরকারিভাবে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালু করি। যদিও শুরুতে চিকিৎসা প্রদানে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছিলো। তবে এখন আমরা অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও নির্দেশনায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আমরা সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
চিকিৎসা প্রদানে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের কথা গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেন ড. আনোয়ার হোসেন খান এমপি।
অনুষ্ঠানে এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, করোনায় মৃত্যুহার কমাতে বাংলাদেশের হাসপাতাল তথা চিকিৎসকের ভূমিকা অপরিসীম। তারা জীবন বাজি রেখে চিকিৎসাকাজে নিয়োজিত ছিলো বলেই এদেশে করোনায় সেভাবে প্রাণহানী ঘটেনি। বড় আশার কথা যে, এখন তারা এই চিকিৎসাকে অনেকটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি অনুরোধ আপনারা রোগী ও রোগীর স্বজনদের প্রতি আরেকটু যত্নবান হবেন। তাদের রোগ এবং চিকিৎসার বিষয়টি বুঝিয়ে বললে তারা আশ্বস্থ হন। এতে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়ানো যায় ও জটিলতার অবসান হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার সাথে সাথে মাস্কের দাম, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ করোনা রোধে ব্যাবহৃত পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বেড পাওয়া যাচ্ছে না। যারা একবার করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তারা বুঝতে পারছেন যে করোনার চিকিৎসা কতো ব্যায়বহুল। কি কারনে করোনার চিকিৎসা এতো ব্যায়বহুল তা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ ড. আনোয়ার হোসেন খান এমপি ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি