চট্টগ্রাম ব্যুরো: এলাকাভিত্তিক শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সরকারি তালিকা করতে না পারাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় নাছির এ মন্তব্য করেন। নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাবেক মেয়র নাছির বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যেসব বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছিলেন তাদের পূর্ণাঙ্গ সরকারি তালিকা তৈরি করা যায়নি, এটা দুর্ভাগ্যজনক। দু’দিন আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ১ হাজার ২২২ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা করেছেন, কিন্তু সেটা চূড়ান্ত নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সকল জনপদের বুদ্ধিজীবীদের টার্গেট করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় রাজাকার-আলবদররা হত্যা করেছিল। এলাকাভিত্তিক শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আরও একটি দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আমরা নিজ নিজ এলাকায় কারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী এবং কারা একাত্তরে পাকিস্তানিদের এজেন্ট ছিল, তাদের নাম জানি না। অথচ তাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের নামের তালিকা আছে। সুযোগ পেলেই তারা টার্গেট করে আঘাত করতে চায়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যখন জাতীয় ঐক্যের ডাক আসে, তখন আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারি না।’
‘আমাদের মধ্যে বড় দুর্বলতা হচ্ছে, ক্ষেত্রবিশেষে আপসকামিতার মনোভাব। আমরা কেউ কেউ কুমতলবে জামাত-শিবিরের চিহ্নিত নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিই এবং তাদের তথাকথিত দেশপ্রেমের সার্টিফিকেট দিই। আমাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিতে হবে’-বলেন নাছির।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দেশে একের পর এক ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলেও নতুন নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এগুলোর ইন্ধনদাতা বিএনপি-জামায়াত। তারা অতীতে ক্ষমতাসীন হয়ে দেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। আবার কেউ কেউ আফগানিস্তান বানাতে চেয়েছে। আজ তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে টার্গেট করে ধর্মের ঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের চাকা থামাতে চায়।’
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নগর কমিটির সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দফতর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, গাজী শফিউল আজিম, বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, মোহাব্বত আলী খান, নিছার উদ্দিন মঞ্জু, জাবেদ, বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর চৌধুরী, সালাউদ্দীন আহমেদ, রেজাউল করিম কায়সার।