বঙ্গবন্ধুর ৪ খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব স্থগিত
১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:০০
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাব পাওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দণ্ডিত চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি খেতাব বাতিলের বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের খেতাব স্থগিত থাকবে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব, খেতাব পাওয়া শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নুর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন ওরফে মুসলেম উদ্দিন ওরফে হিরন খান ওরফে মুসলেম উদ্দিন খানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালিপদ মৃধা ও ফারহানা পারভীন বিথী। আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন রিট পক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান।
সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনির খেতাব (মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পাওয়া) স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই চার খুনির বীরত্বের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এবং রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের খেতাব স্থগিত থাকবে বলছেন আদালত।’
নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা সরকার বীরত্বের জন্য দেওয়া খেতাব পরবর্তীকালে বাতিলের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে নাগরিকদেরকে বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য দেওয়া খেতাব প্রদানের পর কোনো অপরাধের জন্য তাদের খেতাব বাতিল করার নজির রয়েছে। এসব খেতাব হলো রাষ্ট্রের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা, এটা কোন অধিকার নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা মুক্তিযুদ্ধা থাকা না থাকার বিষয় নয়, এটা মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীকালে রাষ্ট্রের দেওয়া খেতাব বাতিলের বিষয়ের রিট।`
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৩ সালে সাতজনকে বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জনকে বীরউত্তম, ১৭৫ জনকে বীরবিক্রম ও ৪২৬ জনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে গেজেট জারি করা হয়। এর মধ্যে শরিফুল হক ডালিমকে বীরউত্তম, নুর চৌধুরীকে বীরবিক্রম এবং রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেছিলেন।