২ মামলায় সাংবাদিক কাজলের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:২৯
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা দুই মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে কাজলের মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এক মামলায় জামিন পেলেন সাংবাদিক কাজল
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা দুই মামলার সাংবাদিক কাজলকে আজ জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারও আগে ১৯ অক্টোবর সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
আদালতে সাংবাদিক কাজলের পক্ষের শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাজারীবাগ এবং কামরাঙ্গীর চর থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় কাজলের জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে কাজল এ দুটি মামলায় চূড়ান্তভাবে জামিন পেলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া কাজলের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা অপর মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনটি মামলায় জামিন পাওয়ায় সাংবাদিক কাজলের মুক্তিতে আর কোনো বাধা রইল না।’
গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলাটি করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখর।
এরপর ১০-১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
গত ১১ মার্চ রাজধানীর সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাজারীবাগ থানায় মামলাটি করেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা ওরফে বেলী।
গত ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।