‘ঢাকা-নয়াদিল্লি সুসম্পর্ক রাজনৈতিক পরিপক্কতার প্রমাণ দেয়’
১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:০৩
ঢাকা: ‘আজকের দিনটি যেমন সুন্দর, ঠিক তেমনি আমাদের দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের নরেন্দ্র মোদির মধ্যে খুব আন্তরিক ও সফলভাবে ভার্চুয়ালি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে ইস্যু-টিস্যু কী আলাপ হলো সেগুলো পরের বিষয়, সবার আগে হচ্ছে যে আমাদের এই যে বিজয়, বাংলাদেশের এই বিজয়ের জন্য ভারত রক্ত দিয়েছে। আর আজ আমাদের বিজয়ের দিনে ভারতও যৌথভাবে এই উদযাপন করেছে। এটা বড় পাওয়া, এটা প্রমাণ করে যে এটা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিপক্কতা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের উন্নয়নে সাতটি সমাঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন-
- বঙ্গবন্ধুর বাণী অবিনশ্বর: মোদি
- ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৭ সমঝোতা স্মারক সই
- মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ-ভারত
- ‘বাংলাদেশ-ভারতের পারস্পরিক নির্ভরতা আনন্দের সঙ্গে স্বীকৃতি দিই’
- ‘১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্ত হলেও আমরা মুক্ত হয়েছিলাম ১৭ তারিখ’
এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট ব্যপ্তির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বেশিরভাগই সময়ই বাংলাদেশ ব্যবহার করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সব সম্পর্ক বা ইস্যু নিয়েই আজকের বৈঠকে আলাপ হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব বিষয়ই উত্থাপন করেছি। গত সেপ্টেম্বর মাসে আজকের বৈঠকটি অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আগামী বছর ঢাকা সফরের দাওয়াত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত এই দাওয়াত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফর করবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে যেসব ইস্যুতে ঝামেলা বা সমস্যা ছিল, তা আমরা উভয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেলেছি, যা বিশ্বের জন্য উদাহরণ। তারপরও আমাদের সম্পর্কে কিছু বিষয় এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। কয়েকটি নদীর পানি বিলিবণ্টন নিয়ে নিয়ে আমাদের সঙ্গে সমস্যা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের বৈঠকে এই বিষয়ে উল্লেখ করেছেন এবং তাগাদা দিয়েছেন যে এসব বিষয় সমাধানে জন্য যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠান দ্রুত হোক।’
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা বহুবার সীমান্ত হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি। আজকের বৈঠকেও এই ইস্যু তুলেছি। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার নির্দেশ আবার জারি করবেন। পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য দুই দেশের সমন্বয়ে ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ প্রস্তাব দিয়েছি। ভারত এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং শিগগিরই নতুন এই বিষয়টি কাজ করবে।”
সাংবাদিকরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান— তিস্তা নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কি না। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজকের বৈঠকেও তিস্তার কথা তুলেছি। ভারত এক লাইনে এর জবাব দিয়েছে। ভারত বলেছে— এ বিষয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করবে।’
কূটনীতি ঢাকা-নয়াদিল্লি নরেন্দ্র মোদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী সুসম্পর্ক