‘মোদি বলেছেন— সীমান্তে আর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হবে না’
১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:০৯
ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এবারও শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের কাছে ইস্যুটি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ। এ ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সীমান্তে যেন প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা না হয়, এ জন্য তিনি আবারও নির্দেশ জারি করবেন। পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নে একমত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে ব্রিফ করেন তিনি। দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের উন্নয়নে সাতটি সমাঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন-
- বঙ্গবন্ধুর বাণী অবিনশ্বর: মোদি
- ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৭ সমঝোতা স্মারক সই
- ‘ঢাকা-নয়াদিল্লি সুসম্পর্ক রাজনৈতিক পরিপক্কতার প্রমাণ দেয়’
- মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ-ভারত
- ‘আন্তর্জাতিক সড়কে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করেন খালেদা জিয়া’
- ‘বাংলাদেশ-ভারতের পারস্পরিক নির্ভরতা আনন্দের সঙ্গে স্বীকৃতি দিই’
- ‘১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্ত হলেও আমরা মুক্ত হয়েছিলাম ১৭ তারিখ’
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বহুবার সীমান্ত হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতকে জানিয়েছি। আজকের বৈঠকেও এই ইস্যু তুলেছি। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন— সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার নির্দেশ আবার জারি করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য দুই দেশের সমন্বয়ে ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ প্রস্তাব দিয়েছি। ভারত এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং শিগগিরই নতুন এই বিষয়টি কাজ করবে বলে জানিয়েছে।”
এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন বৃহস্পতিবার এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে ভারত ও বাংলাদেশের উভয়েরই একটি অভিন্ন দায়িত্ব বলে জোর দিয়ে উভয় নেতা (শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি) আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনের জন্য সমন্বিত ও যৌথ টহলের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ভারত আশ্বাস দিয়েছে, বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করবে এবং সম্ভাব্য প্রাণঘাতী অস্ত্রকে আত্মরক্ষার্থে শেষ সম্বল হিসেবে ব্যবহার করার মাধ্যমে কঠোর প্রটোকল অনুসরণ করবে।’
নরেন্দ্র মোদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্রিফিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে হত্যা