হিম থেকে বোরো বীজতলার চারা বাঁচাতে মরিয়া হিলির কৃষকরা
২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:২১
হিলি (দিনাজপুর): খাদ্যশস্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। জেলার হাকিমপুর উপজেলার কৃষকরা আমন ধানা কাটাই-মাড়াই শেষে এখন বোরো বীজতলা তৈরি ও চারা পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজতলার চারা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। চারা বাঁচাতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছে এখানকার কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে শুরু করে সূর্যের দেখা পাওয়া পর্যন্ত বোরো বীজতলায় কৃষকদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বোরো বীজতলার চারা বাঁচাতে চারার ওপর পলিথিন কাগজ বিছিয়ে দিচ্ছেন, কেউ চারার ওপরে জমে থাকা শিশিরগুলো ফেলে দিচ্ছেন, যেন চারাগুলো ভালো থাকে। এমন পরিস্থিতে মাঠ পর্যায়ে পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। তবে এমন কুয়াশা আরও কয়েকদিন থাকলে চারা মরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এবার হাকিমপুর উপজেলার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা রয়েছে। উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫৩৩ হেক্টর জমিতে।
কথা হয় ছাতনী গ্রামের বেশকিছু কৃষকের সঙ্গে। তারা বলেন, কয়েকদিন থেকে ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বীজতলার চারা বাঁচাতে আমাদের চারা পলিথিন কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে। এছাড়াও বীজতলার পানি প্রতিদিন বদল করে দিচ্ছি আমরা। এখন পর্যন্ত চারাগুলো ভালো রয়েছে। তবে ঠান্ডা ও কুয়াশা আরও কয়েকদিন ধরে পড়তে থাকলে চারাগুলো বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে। বোরো চারা আমরা বাঁচাতে না পারি, তাহলে বোরো আবাদ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, হাকিমপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের কৃষকরা এখন বোরো বীজতলার চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে কয়েক দিন থেকে যে ঘনকুয়াশা হচ্ছে, এর ফলে বোরো বীজতলার চারা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা মাঠ পর্যায়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত উপজেলার সবগুলো বোরো বীজতলার চারা ভালো আছে।