বেক্সিমকোকে ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন
৪ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৩২
ঢাকা: ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমদানির জন্য বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এ সংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়ায় ভ্যাকসিন আনার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারবে বেক্সিমকো।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন আনার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বেক্সিমকো ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর বরাবর আবেদন করে অনাপত্তিপত্র পাওয়ার জন্য। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সেই অনাপত্তিপত্র বা এনওসি দিয়েছে বেক্সিমকোকে। এই এনওসি পাওয়ার ফলে আমাদের দেশে ভ্যাকসিন আনার জন্য প্রয়োজনীয় পরবর্তী পদক্ষেপগুলো শুরু করতে পারবে বেক্সিমকো।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার ব্যাপারে সরকার, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ও সিরাম ইনস্টিউটের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি জি-টু-জি চুক্তি সই হয়। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের পক্ষে বেক্সিমকো ও সিরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি হয়। সেই ভ্যাকসিন আনার জন্যই এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-
- এখনই টিকা রফতানি করবে না ভারত
- ভ্যাকসিন কবে পাব এখনই বলা যাচ্ছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ‘ভ্যাকসিন রফতানি নিয়ে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য নয়’
- টক অব দ্য টাউন: করোনা ভ্যাকসিন রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- রফতানির অনুমতি পেতে কয়েকমাস লেগে যেতে পারে— জানাল সিরাম
- আগেই চুক্তি হওয়ায় সিরামের ভ্যাকসিন পেতে সমস্যা হবে না: বেক্সিমকো
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের এই পরিচালক বলেন, বেক্সিমকোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের আমরা একটি অনাপত্তিপত্র সনদ দিয়েছি, যেটি দেশে ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। এই অনাপত্তিপত্র আসলে একটি প্রসেসিং যেটি দিয়ে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারবে, যেন ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্র আমাদের কোনো টাইম লস না হয়। ভ্যাকসিন যেন আমরা দ্রুত ও জরুরিভিত্তিতে পাই, সে কারণে এই অনাপত্তিপত্র।
আইয়ুব হোসেন আরও বলেন, ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে আসলে বলতে হবে জি-টু-জি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে কো-অর্ডিনেশন করেছে বেক্সিমকো। এই অনুযায়ী তারা বাংলাদেশে ভ্যাকসিন এনে দেবে। কিন্তু চুক্তি সরকারের পক্ষে বা সরকারের সঙ্গে সরকারে হয়েছে। যেহেতু জি-টু-জি চুক্তি হয়েছে, তাই ভারত যে রফতানি নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, সেটি প্রযোজ্য হবে না। যেহেতু জি-টু-জি চুক্তি, তাই আমরা সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন পাব। এক্ষেত্রে একটি মিডিয়া প্রয়োজন হয়, বেক্সিমকো সেই মিডিয়া হিসেবে কাজ করছে। এজন্য তারা ভ্যাকসিন আনা থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রসেসিংগুলো করবে। সে কারণে তাদের আমরা একটা প্রাইমারি এনওসি দিয়েছি।
এর আগে, দুপুরে ভ্যাকসিন আনার জন্য এনওসি চেয়ে আবেদন করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। পরে সন্ধ্যায় ভ্যাকসিন আমদানির অনুমোদন দেয় অধিদফতর।
এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বেক্সিমকোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছি। তারা চাইলে এখন ভ্যাকসিন আনতে পারবে।
এ বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান বলেন, ৩১ ডিসেম্বর দেশে ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এনওসি পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। পরে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আজ অনাপত্তিপত্র দিয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর কোভিড ভ্যাকসিন বেক্সিমকো ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি