ক্রেট দ্বীপে সৌদি যুদ্ধবিমান পাঠানোর পরিকল্পনা, তুরস্কের উদ্বেগ
১০ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:১৪
গ্রিসের আওতাধীন ক্রেট দ্বীপের সামরিক ঘাঁটিতে সৌদি আরব এফ-১৫ যুদ্ধবিমান পাঠানোর পরিকল্পনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। খবর গ্রিক সিটি টাইমস।
স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে গ্রিক-সৌদি যৌথ সামরিক মহড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে তুরস্কের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, গত বছর থেকেই তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে পূর্ব-ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক এবং গ্রিসের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াদ-অ্যাথেন্সের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে সৌদির ফাইটার জেটগুলো পাঠানো হচ্ছে।
তুরস্কের কয়েকটি পত্রিকা জানাচ্ছে, সাইপ্রাস পূর্ব-ভূমধ্যসাগরে গত গ্রীষ্মের পর থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে তার মিত্রদের সহযোগিতায় বেশ কয়েকটি সামরিক মহড়া চালিয়েছে।
এদিকে, অ্যাথেন্স ইতোমধ্যেই তেল আবিবের সঙ্গে ১৬৮ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক চুক্তি সম্পাদন করেছে।
অন্যদিকে, সৌদির যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের নির্দেশে গ্রিসের ক্রেট দ্বীপে যুদ্ধ বিমান পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলে একই জোটে যুক্ত করার পরে গ্রিস সৌদি আরবের সঙ্গে মিত্র হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পর সবচেয়ে বেশি এফ-১৫ বিমান রয়েছে সৌদি আরবের কাছে। বর্তমানে, সাইপ্রাস গ্রিক সাইপ্রাস এবং তুর্কি সাইপ্রাস নামের দুটি অংশে বিভক্ত। যদিও, আন্তর্জাতিকভাবে সমগ্র সাইপ্রাসকে অভিন্ন দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭৪ সালে জাতীয়তাবাদী গ্রিক সাইপ্রিয়টরা গ্রিসের সামরিক জান্তার সহায়তায় একটি অভ্যুত্থান ঘটায়।
তুরস্ক এ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বহুপক্ষীয় সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় এবং দ্বীপটির উত্তরাঞ্চল আক্রমণ করে। যুদ্ধবিরতির পরও তুর্কি বাহিনী সেখানে থেকে যায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয় দেশটির এ বিভাজন। বর্তমানে তাই দ্বীপটির উত্তরাংশ তুর্কি সাইপ্রাস বা নর্থ সাইপ্রাস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অন্যদিকে দ্বীপটির দক্ষিণাংশে গ্রিকভাষী মানুষের সংখ্যা বেশি, তাই একে গ্রিক সাইপ্রাস নামে অভিহিত করা হয়।