একমাসের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণের হার অর্ধেক
১৯ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৩৩
ঢাকা: দেশে গত জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের হার চূড়া স্পর্শ করেছিল। সে তুলনায় সেপ্টেম্বর মাস থেকে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার কমতে থাকে। তারপরও সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় তিন মাসে এই হার ছিল ১২ শতাংশের আশপাশে। ডিসেম্বরের প্রথম পক্ষেও প্রায় একইরকম ছিল এই হার। তবে ওই সময় থেকেই সংক্রমণের হার কমতে থাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। ডিসেম্বরের শেষার্ধ পেরিয়ে জানুয়ারির প্রথমার্ধে এসে দেখা যাচ্ছে— একমাসের ব্যবধানে সংক্রমণের হার নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ৫ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিনে দেশে দুই লাখ ২৫ হাজার ৯৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ হাজার ৫৫৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এই ১৫ দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল ১১ দশমিক ৩১৬ শতাংশ।
পরের ১৫ দিন, অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাব বলছে, এক লাখ ৯৭ হাজার ৯৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ৪৫৯ জনের মধ্যে। এই ১৫ দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল আট দশমিক ৩১৪ শতাংশ। আগের ১৫ দিনের তুলনায় সংক্রমণের হার তিন শতাংশ কমে আসে।
আর সবশেষ ৪ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিনে দুই লাখ ৯ হাজার ৮৩৩ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্ত হয় ১২ হাজার ৩১০ জনের মধ্যে। এই ১৫ দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল পাঁচ দশমিক ৮৬৭ শতাংশ, আগের ১৫ দিনের তুলনায় যা প্রায় আড়াই শতাংশ কম। আর ডিসেম্বরের ৫ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ১৫ দিনের সঙ্গে তুলনায় করলে এই সময়ে সংক্রমণের হার নেমে এসেছে অর্ধেকে।
দেশে ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ সময়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তের জন্য দুই লাখ ২৫ হাজার ৯৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দেশে। এই ১৫ দিনে দেশে ২৫ হাজার ৫৬৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই ১৫ দিনে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৭০ জন। দেশে এই ১৫ দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩১৬ শতাংশ। এই সময়ে দেশে মৃত্যু হার ছিল এক দশমিক ৮৩ শতাংশ।
দেশে ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ সময়ে এক লাখ ৯৭ হাজার ৯৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দেশে। এই ১৫ দিনে দেশে ১৬ হাজার ৪৫৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই ১৫ দিনে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৮৪ জন। দেশে এই ১৫ দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৩১৪ শতাংশ। এই সময়ে দেশে মৃত্যু হার ছিল দুই দশমিক ২২ শতাংশ।
দেশে ৪ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ সময়ে দুই লাখ ৯ হাজার ৮৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দেশে। এই ১৫ দিনে দেশে ১২ হাজার ৩১০ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই ১৫ দিনে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৯৬ জন। দেশে এই ১৫ দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৬৭ শতাংশ। এই সময়ে দেশে মৃত্যু হার ছিল দুই দশমিক ৪০ শতাংশ।
দেশে কোভিড প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও ভাইরোলজিস্ট ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, সংক্রমণের হার কমে এলে সেটি তো দেশের জন্য ভালো। কিন্তু তাতেও রিল্যাক্স হওয়া যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে কোনো দেশে যদি সংক্রমণের হার পর পর পাঁচ শতাংশের নিচে অবস্থান করে তবে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির উন্নতি বলা যাবে। এই অবস্থায় প্যানডেমিকের পরিবর্তে এন্ডেমিক হয়ে দাঁড়াবে রোগের অবস্থা। আমরা ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে সংক্রমণের হার কমতে দেখছি। এই সময়ে দেশে চার দিন শনাক্তের হার ছিল পাঁচ শতাংশের নিচে। তবে এই অবস্থাকে সতর্কভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত শীতকালে কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। সেগুলো আগেও আমাদের দেশে দেখা যেতো নানা রূপে। যেমন শিশুদের নিউমোনিয়া থেকে শুরু করে সর্দি, কাশি, টাইপের কিছু রেসপেরেটরি ভাইরাস বছর জুড়েই দেখা গেলেও শীতকালে একটু বেশিই দেখা যায়। এক্ষেত্রে দেখা যায় গরম এলে এই রেসপেরেটরি সিস্টেমগুলো পরিবর্তন হতে থাকে। মৌসুম পরিবর্তনের এই সময়ে মানুষের শরীরে এক ধরণের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হয়তোবা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের শরীরে সেই কমন ভাইরাসগুলো ইতোমধ্যেই রেসপেরেটরি ট্র্যাকগুলো দখল করে আছে। সেজন্য নতুনভাবে আর কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রবেশ করতে পারছে না। তবে এটাও কিন্তু নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। আমাদের আরও সপ্তাহ খানেক পর্যবেক্ষণ করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে শনাক্তের হার কমে আসলেও সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড কিন্তু পরিপূর্ণ। এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে ক্লিনিক্যালি আমাদের কিছু জায়গায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এ কারণে আমরা সকলকে এখনো আইসিইউ সেবা দিতে পারছি না। এই পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটানো প্রয়োজন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক এই উপাচার্য বলেন, সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে দেখা গেছে মাস্ক পরার পরিমান বেড়েছে। কিন্তু এখনও রাজধানীর বাইরে অধিকাংশ স্থানে মাস্ক ছাড়াই কিন্তু সবাই ঘরে বেড়াচ্ছে। এটি বিপদজনক। আমরা হয়তবা বলতে পারি যে শনাক্তের হার বা সংক্রমণের তীব্রতা কমে আসছে কিন্তু এটা যে বাড়বে না সে বিষয়ে কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। একই সঙ্গে সেই পুরনো তিনটি বিষয় যা মেনে চলতেই হবে– স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, হাত ধোঁয়ার অভ্যাস চালু রাখতে হবে ও মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, দেশে সংক্রমণের হার কমে আসছে এটা সত্য। কিন্তু আমরা বিপদসীমা অতিক্রম করে ফেলেছি এমনটা বলা যাবে না। আজকে সংক্রমণ কম থাকলেও এটি কাল যে বাড়বে না, তার নিশ্চয়তা নেই। এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের কিছু দেশ দেখেছি যাদের সংক্রমণের হার একদম শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। পরবর্তী সময়ে কিন্তু ফের সংক্রমণ বেড়েছে। তাই সংক্রমণের হার কমে যাওয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করার অবকাশ নেই।
সংক্রমণ করে আসলেও তা আবার বাড়তে পারে উল্লেখ করে ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, থাইল্যান্ডে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি শুরু থেকে যদি দেখা হয় তবে সেখানে কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু পরে সেখানে বেড়ে গিয়েছিল সংক্রমণের হার। ঠিক একই ভাবে পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার শূন্যের ঘরে চলে এসেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সেখানে আবার সংক্রমণ হার বেড়ে যায়। একই অবস্থা দেখা যায় যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিতেও। সেখানে প্রায় শূন্য থেকে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। জাপান, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলিও করোনা সংক্রমণ শূন্য হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আবার সেখানেও কিন্তু রোগী পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সংক্রমণ পরিস্থিতি কমে আসলে রিল্যাক্স হওয়ার কোনো উপায় নেই কোনো দেশের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সবসময়েই দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সবাইকে সাবধান করছেন। এ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সরকারি নানা প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। অনেকেই বলছিল দেশে শীতে সংক্রমণের হার বাড়বে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তেমন কিছুই হয়নি। এতে বোঝা যায়, আবহাওয়ার সঙ্গে করোনা সংক্রমণের কোনো সম্পর্ক তেমনভাবে নেই। তাই বছরব্যাপী সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখনো আমাদের সংক্রমণের হার কম। এটা এভাবে যদি পরপর আরও তিন সপ্তাহ থাকে তখন আমরা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে বলতে পারব। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল খোলার মতো সিদ্ধান্তও নেওয়া যেতে পারে।
দেশে সংক্রমণের হার কমে আসা বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার অর্থাৎ রি-প্রোডাকশন রেট (আর-নট রেট) কমেছে। সর্বশেষ এ হার ছিল দশমিক ৮৭। এর মানে বর্তমানে দেশে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি একজনেরও কম দেহে রোগটি ছড়াচ্ছে। এ হার একের নিচে থাকলে মহামারী নিয়ন্ত্রণের দিকে। আমাদের দেশে অনেক দিন ধরেই আর-নট রেট একের নিচে রয়েছে। এটি একটি ভালো দিক।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুযায়ী শনাক্তের হার শতকরা পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এলে সেটিকে স্থিতিশীল বা সহনীয় পর্যায় বলা যেতে পারে। এই হারে সংক্রমণ কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করলে বলা যাবে কিছুটা নিরাপদ অবস্থানে আমরা পৌঁছাব। সেটি কিন্তু এখনো অর্জিত হয়নি। ফলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের ক্ষেত্রে শিথিল হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও আমাদের মাস্ক পরার অভ্যাস ধরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে হটস্পট বিবেচনায় রাজধানীতেই বেশি পরিমাণ শনাক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের নানামুখী উদ্যোগে রাজধানীতে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও নানা ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের কারণে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমছে— এমনটি বলা যেতে পারে।
তবে সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কমলেও সতর্কতায় ঘাটতি বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মত ডা. আলমগীরের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা সারাবাংলাকে বলেন, দেশে মানুষের মাঝে আগের চাইতে সচেতনতা অনেক বেড়েছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এক্ষেত্রে আমরা সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলছিলাম যাদের অন্যান্য রোগ আছে তারা যেনো অবশ্যই কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা গেলে নমুনা পরীক্ষা করান। সেটি এখন আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। একই সঙ্গে মাস্ক পরার হারও বেড়েছে। দেশের অধিকাংশ স্থানেই স্বাস্থ্য বিধি বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করা হচ্ছে। আর এসব কিছু মিলিয়ে দেশে শনাক্তের হার কমে এসেছে।
সরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে সিট খালি না থাকা বিষয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, যারা আইসিইউতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তাদের ক্ষেত্রেই অধিকাংশই কিন্তু নানা রকম গুরুতর রোগে আক্রান্ত। সে কারণে এমন না যে শনাক্তের হার কমলে আইসিইউর বেড খালি হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে শনাক্তের হার কমলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমে আসলেও দেখা যায় আইসিইউতে যারা চিকিৎসাধীন তাদের কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী সেখানে থাকতে হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিন্তু সকল আইসিইউ বেড আমরা শুধুমাত্র কোভিড-১৯ এর জন্য বরাদ্দ করিনি। এক্ষেত্রে হয়তোবা বলা যায়, শনাক্তের হার বর্তমানে কমে আসলেও ভবিষ্যতে আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও কমে আসবে।
সারাবাংলা/এসবি/এএম