‘একতরফা ভোট ডাকাতির নির্বাচনের দিকেই এগোচ্ছে সরকার’
২৬ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:২৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকার একতরফা একটি ভোট ডাকাতির নির্বাচনের দিকেই এগোচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
প্রতিদিনের ধারাবাহিকতায় ভোটের আগেরদিনও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলেন শাহাদাত। এদিন তিনি গত (সোমবার) রাতে তার ৫৬ জন পোলিং এজেন্টকে গ্রেফতারের অভিযোগ করেন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযোগ জানানো শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচনের একদিন আগে এজেন্ট গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। একতরফা একটা ভোট ডাকাতির নির্বাচনের দিকে সরকার আবার এগিয়ে যাচ্ছে। বারো বছরের মধ্যে তাদের ইতিহাসে একটি রেকর্ডও নেই সুষ্ঠু নির্বাচন করার। সম্ভবত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনটিও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হয়তো বা ভোট ডাকাতির আরেকটি নির্বাচন আমরা দেখতে পাব।’
তিনি বলেন, ‘যারা মাঠে কাজ করছেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাসায় না পেয়ে আত্মীয় স্বজনকে ধরে নিয়ে আসছে। সব মিলিয়ে একটা যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার চেষ্টা করেছিলাম, গত সাত দিনে সেটা এখন আশঙ্কা ও ভীতির জায়গায় পরিণত হয়েছে। গতকাল রাতে আমাদের ৫৬ জন এজেন্টকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা কমিশনের একটা পার্ট। তাই কমিশনকে বলেছি স্বল্প সময়ের মধ্যে এজেন্টদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য।’
‘রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের বরাবরের মতো আশ্বস্ত করেছেন। উনি বলেছেন একটা ভালো নির্বাচন করবেন।’- বলেন শাহাদাত
এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত বলেন, ‘ফরম পূরণ করার পর একজন পোলিং এজেন্ট কমিশনের অংশ। ইসির উচিত তাদের ছাড়িয়ে আনা। যদি এটা না পারে তাহলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বলেন, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ১৫টি থানায় আমাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো এক মাস দুমাসে হয়নি। সাতদিন ধরে হয়েছে। হঠাৎ করে সাতদিন ধরে মামলা হবে কেন? নিশ্চয় আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে কাজ করতে না পারে ভয়ভীতি দেখাতে মামলাগুলো করা হয়েছে। তারা যেন চলে যায়। বারবার বলেছি এই মামলাগুলোতে যেন কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয়, বারবার বলেছি। আবারও কমিশনে বলছি। বুঝতে পারছি না তারা কিছু করতে পারছেন কিনা।’
আওয়ামী লীগ পরাজয়ের ভয়ে ভীত, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘গত সাতদিনের পরিবেশ এবং গত দুদিন যেভাবে এজেন্ট ধরা শুরু হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ পরাজয়ের ভয়ে খুবই ভীত। তারা জনগনকে বিশ্বাসই করতে পারছে না। তারা হয়তো বা সন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে আবারও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত হতে চায়।’
‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই জনগণ রাজপথে আছে। তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ জনগণ যদি আগামীকাল তাদের যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাহলে আমরা জয়ী হবো।’ – বলেন শাহাদাত
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ