অর্থ আত্মসাৎ: ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ডিএমডিসহ ৭ জনের কারাদণ্ড
২৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:৫৫
ঢাকা: এক কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ (ডিএমডি) সাতজনের বিরুদ্ধে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া আত্মসাতকৃত এক কোটি ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা হলেন- ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ইমামুল হক, এসভিপি শাহ মো. হারুন, এসএভিপি আবুল কাশেম মাহমুদ উল্লাহ, এভিপি ফজলুর রহমান, ইও তারিকুল আলম, এসইভিপি মাহমুদ হোসেন ও ইভিপি কামরুল ইসলাম।
রায়ে আসামিদের দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনের ৫ (২) ধারায় আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আসামিদের এই সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। সেক্ষেত্রে তাদের পাঁচ বছরের কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা ইমামুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর রায় ঘোষণার পর সাজার পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপর ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন।
মামলায় বলা হয়, মেসার্স আলীম এন্টারপ্রাইজ নামীয় ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে আসামিরা ২০০৫ সালে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। যা ২০১০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুদে আসলে এক কোটি ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩২ টাকা। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা। মামলাটির চার্জশিটভুক্ত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের নেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম