Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাঈদ খোকনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ২৪ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৩৪

ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট ব্লক-২ দোকানের বৈধতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে এই মামলা দায়ের হয়েছিল।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ধার্য করেন।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকানের বৈধতা পেতে সাঈদ খোকনকে মেয়র থাকার সময় দোকান প্রতি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন তারা। অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরও ওই সময় দোকানের বৈধতা পাননি তারা।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন— ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর ব্লক-এ, বি, সি মূল বিল্ডিংয়ের মূল নকশাবহির্ভূত অংশ হিসাবে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ওই ঘোষণার পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করেন। তখন আসামিরা তাদের টাকা জমা দিতে বলেন। আর যাদের নামে দোকান বরাদ্দ আছে তাদের ভুল বুঝিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর মূল নকশা বহির্ভূত এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সি-তে দোকান না নিলে মূল মার্কেটের দোকান মালিকদের দোকানের বরাদ্দ বাতিল ও তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা এক্সটেনশন ব্লকে দোকান নিতে বাধ্য হন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগে আরও বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্য আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেয়। এই মামলার বাদী কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তার প্রাণহানির চেষ্টা করে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী তাদের বিরুদ্ধে জিডি পর্যন্ত করতে সাহস পায়নি। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে কিন্তু কোনো কাগজপত্র পর্যন্ত দেয়নি। মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও আবেদন করা হয়েছিলো।

সারাবাংলা/এআই/এমও

মামলা সাঈদ খোকন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর