দক্ষিণ চীন সাগরে ২ মার্কিন রণতরীর মহড়া
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:১৬
দক্ষিণ চীন সাগরে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে বিমানবাহী মার্কিন রণতরী থিওডর রুজভেল্ট ও নিমিটজ। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র এ মহড়া চালিয়েছে। খবর রয়টার্স।
এতে দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে মহড়া চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণের সামর্থ্য বাড়ানোর জন্যই এ মহড়া চালিয়েছে দেশটি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের জুলাই মাসের পর থেকে ব্যস্ত জলপথের মধ্যে দুটি রণতরী ব্যবহার করে মহড়া দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
চীনের দাবি করা জলসীমায় মার্কিন রণতরী জন এস ম্যাককেইন অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করেছে। এ ঘটনায় চীনের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়। তারা মার্কিন ওই যুদ্ধজাহাজকে সতর্ক করে সরিয়ে দেওয়ারও দাবি করে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিমানবাহী মার্কিন রণতরী দক্ষিণ চীন সাগরে মহড়া শুরু করে।
মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সমুদ্রপথে স্বাধীন অভিযানের অংশ হিসেবে ওই পথ ব্যবহার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন যুদ্ধজাহাজের এ ধরনের অভিযান ছিল এটাই প্রথম। বেইজিং বলছে, তাদের সার্বভৌমত্ব অখণ্ডনীয় এবং ওয়াশিংটন ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা চাপিয়ে দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগরের পুরো মালিকানা নিজের বলে দাবি করে চীন। তবে প্রতিবেশী দেশগুলো এটা মানতে রাজি নয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামের মতো প্রতিবেশীদের ভয় দেখাচ্ছে চীন। চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধ দিন দিন বাড়ছে। চীনের দখলে থাকলেও দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন।
এ ব্যাপারে রণতরী নিমিটজের স্ট্রাইক গ্রুপের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল জিম কার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সব দেশের জন্য সমুদ্রের বৈধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে মার্কিন রণতরী চীনের আপত্তি উপেক্ষা করে তাইওয়ান প্রণালী পাড়ি দিলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় চীন। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে একে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সারাবাংলা/একেএম