Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রূপগঞ্জের ফুল সুবাস ছড়াচ্ছে সারাদেশে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৪৮

নারায়ণগঞ্জ: আগামীকাল বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস। এক সপ্তাহ পরেই একুশে ফেব্রুয়ারি। তিনটি দিবসেই ফুলের কোনো বিকল্প নেই। বছরের অন্য মাসগুলোর তুলনায় এই মাসে ফুলের চাহিদা থাকে কয়েক গুণ। সেই চাহিদা পূরণে দারুণ ভূমিকা পালন করছেন উপজেলার মাসুমাবাদ, তারাব, গর্ন্ধবপুর, গুতিয়াব, পিতলগঞ্জ, ভুলতা আজিজ নগর, ভোলাবো ও পূর্বাচল উপশহরসহ কয়েকটি এলাকার ফুলচাষীরা। এখানকার ফুল ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে।

বিজ্ঞাপন

ফুল চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগেও ধান, আলু, মরিচ, মুলা, বেগুনসহ প্রচলিত মৌসুমি ফসলের চাষাবাদে সীমাবদ্ধ ছিল তাদের কৃষি কার্যক্রম। দিন বদলে গেছে। চাষীরা এখন শষ্যের সঙ্গে সঙ্গে নানান জাতের ফুল চাষও শিখেছেন। এতেই অনেকের ভাগ্যের চাকা বদলে গেছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ফুল চাষে লাভ বেশি হওয়ায় ফুল চাষকেই প্রধান্য দিচ্ছেন চাষীরা। লাল গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, চেরি, বেলি, কামিনী, সূর্যমুখী, ডায়মন্ড, গরম ফেনিয়া ও চন্দ্র মল্লিকাসহ হরেক রকমের ফুল।

বিজ্ঞাপন

মাসুমাবাদ এলাকার ফুলচাষী জালাল মিয়া জানান, প্রথমে কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই বাড়ির পাশের ২০ শতাংশ জমিতে ফুলের চাষ করেন। প্রথম বছরেই পাঁচ হাজার টাকার পুঁজিতে লাভ হয় ১০ হাজার টাকার মতো। প্রথম বছরেই ভালো লাভ হওয়ায় পরের বছর আরও জমিতে ফুলের চাষ করেন। বর্তমানে তিনি প্রায় ৪ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করছেন।

ভোলাব এলাকার ফুলচাষী মিয়াজ উদ্দিন জানান, ফুল চাষ করে তিনি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন। চার লাখ টাকা খরচ করে দুই বোনকে বিয়ে দিয়েছেন। পাকা বাড়ি নির্মাণ ও প্রাইভেটকার- সব ফুল চাষের মাধ্যমে হয়েছে। তার পরিকল্পনা আরও অধিক জমিতে ফুল চাষ করা।

এ ব্যাপা‌রে রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নূর বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ফুল চাষীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় ১৬ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ করা হয়। এছাড়া তাদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা চাইলে সরকারিভাবে ঋণ নিয়ে ফুল চাষ আরো বিস্তার করতে পারবে। বেকার যুবকরাও ফুল চাষে এগিয়ে আসছে। এতে করে বেকারত্ব অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করছি।

সারাবাংলা/এএম

ফুল চাষ রূপগঞ্জ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর