ঢাকা: সুন্দরবন ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সাক্ষাৎ করতে গেলে ঢাকার পক্ষ থেকে এ আগ্রহের কথা জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের দূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন— যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধু দেশগুলোর সহযোগিতায় গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক খাতের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। সামনের দিনগুলোতেও এগিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে ঢাকা বিশ্বাস করতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে (আইসিটি) আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন সংরক্ষণ ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শান্তি ও প্রগতির উন্নয়নে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে যাবে— এই তথ্য রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবারও আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার জানান, সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। দ্রুততম সময়ে যেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে।