ঢাকা: রাজধানীর রূপনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি আরোহী নানি-নাতনি নিহত হয়েছে। সোমবার (১ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে রূপনগর বেড়িবাঁধ পাম্প হাউজ সংলগ্ন রাস্তায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন নানি সালমা বেগম (৫৫) এবং নাতনি রিন্তা আক্তার (১১)। এসময় আহত হয়েছেন রিন্তার মামা সোহেল রানা ওরফে সালেক হোসেন (২৪) ও বড় বোন এলিনা জাহান রিমা (১৩)।
এসআই মো. লোকমান হোসেন জানান, ভোরে একটি সিএনজিতে করে আশুলিয়ায় বেড়াতে যাচ্ছিল একই পরিবারের চারজন। এসময় বেড়িবাঁধ একটি ট্রাক যাত্রীবাহী সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিতে থাকা রিন্তা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার নানি সালমা বেগম মারা যান। আহত হয় বোন ও সিএনজি চালক মামা।
এসআই আরও জানান, খবর পেয়ে রিন্তার মরদেহটি উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর সালমার মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আছে। আহত রিমা ও সালেককে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। সেটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালে মৃত রিন্তার খালা শিউলি আক্তার জানান, তাদের বাড়ি রংপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা গ্রামে। তিনি থাকেন আশুলিয়ায়। আর তার মা সালমা বেগম ও দুই বোন রিমা ও রিন্তা গ্রামে থাকেন। এলাকার বানিনগর সরকারী প্রাইমারি স্কুলের ২য় শ্রেণিতে পড়ত রিন্তা। তিন দিন আগেই নানীর সঙ্গে দুই বোন আদাবর ১০ নম্বর বালুর মাঠে নানা আবুল হোসেনের কাছে বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে আজ ভোরে মামা সালেকের সিএনজিতে করে আশুলিয়া খালা শিউলির বাসায় যাচ্ছিল। পথে রূপনগর বেড়িবাঁধে দুর্ঘটনার ঘটে।
তিনি আরও জানান, রিমাকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর সালেক সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শিউলি জানায়, রিন্তার মা দুলালি বেগম গত বছরের নভেম্বরে মারা যায়। তার বাবা এরশাদুল ইসলাম গ্রামে থাকেন। একেক সময় একেক পেশার কাজ করেন তিনি। তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রিন্তা।