Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাড়ছে বই আর দর্শনার্থী, প্রস্তুত হচ্ছে স্টলও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২০ মার্চ ২০২১ ১৯:৫২

ঢাকা: ফেব্রুয়ারির মেলা মার্চে হওয়ায় এমনিতেই উৎসাহে কিছুটা ভাটা ছিল। তার ওপরে আবার অব্যবস্থাপনার জন্য দর্শানার্থী হয়েছেন হাতাশ। তবে তৃতীয় দিনে এসে অমর একুশে বইমেলা ফিরে পাচ্ছে তার চেনা চেহারা।

শনিবার (২০ মার্চ) অনেক নির্মাণাধীন স্টল  তার কাজ শেষ করে ফিরেছে বিকিকিনি ব্যস্তায়। এদিন মেলায় নতুন বইও এসেছে ১০৪টি।

এছাড়াও বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে আবুল মোমেন লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক সাহেদ মন্তাজ। আলোচনায় অংশ নেন আবুল কাশেম ও ফওজুল আজিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক খুরশীদা বেগম।

সাহেদ মন্তাজ বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গণপরিষদে খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদন উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে দেশের চারটি মৌলিক আদর্শ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ওই বছরের ১২ অক্টোবর স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের অধিবেশনে তিনি এ সংবিধানকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে নির্দেশনা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অর্থাৎ এটির মূল ভাবধারাকে স্থায়ী হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর ১৯৭২ সংবিধান বিলের ওপর দীর্ঘ ভাষণেও তিনি এর মূল চার স্তম্ভের কথা আবেগ দিয়ে আবারও বলেছেন। এইভাবে স্বাধীনতার স্বপ্ন এক ব্যক্তি থেকে জাতির অন্তরে সঞ্চারিত হয়েছে, স্বপ্ন একদিন আকাঙ্ক্ষায় রূপ নিয়েছিল। তারপর তা হয়েছে অঙ্গীকার এবং শেষে ধরা দিয়েছে বাস্তবে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থেকে তা রূপ পেয়েছে বাস্তব স্বাধীন দেশে।

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র নিয়ে অনেক অযথা বিতর্কের জন্ম দেওয়া হয়েছে এবং এ সম্পর্কিত ইতিহাসকে রাষ্ট্রীয় প্রভাব খাটিয়ে বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করেন অন্যান্য আলোচকরা।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বাধীনতার রূপকল্প একাত্তরের বহু আগেই তৈরি করে রেখেছিলেন। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ তার ঐতিহাসিক বক্তৃতার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সূত্রগুলো এ দেশের জনগণের কাছে উপস্থিত করে তাদের আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নির্মাণ-কল্পনা প্রকাশ করেন, যা যুগ যুগ ধরে স্বাধীনতা সংহত করার প্রেরণা দিয়ে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক খুরশীদা বেগম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এক ও অভিন্ন। বাংলা ও বাঙালির নেতা হিসেবে বস্তুত তিনিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার সংরক্ষণ করতেন এবং তার ঘোষণাতেই স্বাধীনতার সংগ্রাম আনুষ্ঠানিক রূপ পায়।

এছাড়াও লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন আবদুস সেলিম, শাহেদ কায়েস এবং আঁখি হক।

রোববার অমর একুশে বইমেলার চতুর্থ দিনে মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী। আলোচনায় অংশ নেবেন কল্যাণী ঘোষ, বুলবুল মহলানবীশ ও আশরাফুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রামেন্দু মজুমদার।

বিজ্ঞাপন

ছবি: সুমিত আহমেদ

সারাবাংলা/টিএস/টিআর

টপ নিউজ বইমেলা ২০২১

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর