ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) প্রধান কার্যালয় আদমজী কোর্টে আগুনের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২২ মার্চ) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালামের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগুন লাগার কারণ ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে সুপারিশ দেওয়ার জন্য ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিজেএমসি প্রতিনিধি ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- পানি সংকটে আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হয়
এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে মতিঝিলের ওই ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ও পরে আরও দুইটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। এতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছিল। পরে আরও ছয়টি ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে। মোট ১৩ ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আদমজী কোর্টের সপ্তম তলায় (ডে-কেয়ার সেন্টার, গবেষণা বিভাগ ও কনফারেন্স রুম) আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে অবস্থানরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, ফায়ার ব্রিগেডের ১৩টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, আগুনের কারণে প্রাথমিকভাবে ইলেকট্রনিক সামগ্রী— যেমন এসি, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিজেএমসি সূত্রে জানা গেছে। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাত তলায় কাগজপত্রের গুদাম থাকার কারণে আগুনে নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। আশপাশে বিকল্প পানির ব্যবস্থা না থাকার কারণে কিছুটা পানির সংকটে পড়তে হয়। এ কারণে ভবনের পাশেই জনতা ব্যাংকের জনতা ফোয়ারা থেকে মোটর দিয়ে পানি নেওয়া হয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ জানান, আগুন লাগার কারণ ঠিক কী ছিল, তা এখনই বলতে পারছি না। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণের পর কারণ খতিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।