স্ত্রীর বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর
৩ এপ্রিল ২০২১ ১৬:৪৪
বরিশাল: বরিশাল শহরের দক্ষিণ আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম তামান্না আফরিন (১৫)। শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে তামান্নার নানা হাফেজ মো. আলমগীরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
তামান্না এ.আর.এস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে রফিকুল ইসলাম টিপুর বড় মেয়ে। তামান্নার বাবার অভিযোগ, মেয়েকে মারধর করে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তামান্নার মা জাকিয়া বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাকিয়া বেগমের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রফিকুল ইসলাম টিপুর। এরপর থেকে তামান্না মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি বসবাস করে আসছিল। সম্প্রতি তামান্না রাতভর ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলত। আবার কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বা ইউটিউব চালাত। দিনের বেলায় ঘুমাত। এই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার বেলা ১টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে সে। পরে বাসার দোতালায় ওঠে। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তামান্নার মা অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর মেয়ের খোঁজে দোতলায় গিয়ে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে তামান্না। এ সময় মা জাকিয়া বেগমের চিৎকারে পরিবারের অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তামান্না মা জাকিয়া বেগম জানান, ও খুব ইমোশনাল ছিল। রাত জেগে ফেসবুক ও ইউটিউব চালানোর কারণে গত শব-ই বরাতের রাতে রাগ করে তামান্নার হেডফোন ছিঁড়ে ফেলি। পরে আবার মেয়ের আবদারে হেডফোন কিনে দেই। এছাড়া সম্প্রতি তাকে কোনো বকাঝকা করা হয়নি, যার জন্য সে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে পারে।
এদিকে স্কুলশিক্ষার্থীর বাবা রফিকুল ইসলাম টিপু বলেন, তামান্নাকে তার নানী ও মামা মিলে মারধর করে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। পরবর্তীতে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এনএস