Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জমজমাট বইমেলায় পুরনো আমেজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ এপ্রিল ২০২১ ২২:৫৯

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এবছর নানা কারণেই লেখক-পাঠকের ভিড় ছিল কম। করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে দিয়েছে- এমন আলোচনায় প্রতিদিনই কমছিল দর্শনার্থীর সংখ্যা। তবে এবার শুক্রবারে এই দৃশ্যটি যেন একেবারেই বদলে গেছে। ছুটির দিনের বিকেলে সাহিত্যপ্রিয় মানুষের পদচারনায় বইমেলায় ফিরে আসে বিগত বছরগুলোর উৎসবের আমেজ।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল লেখক-পাঠকদের। এদিনে মেলায় বইও বিক্রি হয়েছে যে কোনো দিনের চেয়ে বেশি। করোনা ঝুঁকি আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেলেও এবার সে ভয়ে খুব একটা ভীত মনে হয়নি পাঠক কিংবা প্রকাশকদের।

বিজ্ঞাপন

মেলায় যে কয়জন পাঠকের সঙ্গে কথা হয়েছে সবাই বলেছেন, ‘মেলা শেষ হয়ে গেলে আর আশা হবে না,’ কিংবা ‘পরবর্তী লকডাউনের কথা’। শেষের আবহ বেজে উঠার কারণেই কম বেশি সবাই মেলায় এসেছেন খুশিতে, ঘুরতে আর ব্যক্তিগত আনন্দের অংশ হিসেবে। তীর্থ রয় নামের একজন বললেন, বইমেলা আমাদের একটা আবেগের জায়গা। কিন্তু এবার তো তেমন আসা হলো না। আবার যদি লকডাউন দিয়ে দেয় তাহলে আর আসাই হবে না। তাই আজ এলাম।

রাশেদ সরোবর নামের আরেকজন বলছেন, ‘এর আগে তিন দিন এসেছি, তবে আজকে মেলায় এসেছি লক ডাউনের কথা চিন্তা করে। ১৪ তারিখ থেকে যদি আবারও লক ডাউন দেয় তাহলে আর আসাই হবে না। তাই বই কিনতে এলাম।’

তিনি বলেন, ‘বই কেনার জন্য সবসময় আলাদা করে কিছু রাখা হয়। কিন্তু সবমিলিয়ে এবার মেলা থেকে বই কেনা হয়নি। আজকে কিনলাম। পনেরটার মতো বই কিনেছি, এ বছর পড়ে শেষ করব। পরের বই মেলা হলে আরও বেশি করে কেনা যাবে, আনন্দও করা যাবে। এবার বিদায়।’

বিভিন্ন স্টলে বই বিক্রি সহায়করাও বলছেন আজকের মেলায় বইয়ের বিক্রি অনেক ভালো। আজকের ভিড়ও ছিল অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। প্রকাশক শিহাব উদ্দীন বলেন, ‘অফিস সময়ে মেলা, তার উপরের চৈত্র মাসের গরম। আমরা পাঠকেই পাচ্ছিলাম না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে আজকে পাঠক ছিল উল্লেখ করার মতো বেশি। এ মাসের শুরু থেকেও যদি এমন ভিড় হত তাহলে প্রকাশকরা খরচ তুলে আনতে পারত।’

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে মেলার সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, ‘মহামারির সময়ে আমরা অনেক দিক বিবেচনায় নিয়েই মেলার সময় নির্ধারণ করেছি। করোনার ভয়েই অনেক পাঠক মেলায় আসেননি। অনেকের আবার অফিস থাকে সে জন্য আসতে পারেনি। আজকে দৃশ্যটি বদলে গেছে। শেষ কয়েকদিন এই ভিড় বাড়বে বলেই আশা করছি আমরা।’

সারাবাংলা/টিএস/একে

বইমেলা ২০২১ বাংলা একাডেমি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর