Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যাংকে উপচে পড়া ভিড়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৩৫

ঢাকা: আগামীকাল ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত ১৩ দফায় নির্দেশনা মোতাবেক প্রথমবারের মতো অন্যান্য অফিসের পাশাপাশি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকও বন্ধ থাকবে। এই অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর শেষ কার্যদিবস। এতে রাজধানীর ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

এ সময় ব্যাংকগুলোতে টাকা উত্তোলন এবং জমা দেওয়ার জন্য দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে লেনদেন করতে দেখা গেছে গ্রাহকদের। বেশির ভাগ ব্যাংকে টাকা জমা কিংবা ইউটিলিটি বিল পরিশোধের তুলনায় উত্তোলন হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, শান্তিনগর, পল্টনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লেনদেন চলাকালীন সময়ে এক্সিম ব্যাংক, ডাচবাংলা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, এসআইবিএল, এনআরবিসি ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, রুপালি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। বেশিরভাগ ব্যাংকে ছিল গ্রাহকদের উপচে পড়া পড়া ভিড়। কোনো কোনো ব্যাংকের দীর্ঘ লাইন ব্যাংকের বাইরে চলে গেছে। গ্রাহকদের বাড়তি ভিড়ের কারণে চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের। একই অবস্থা দেখা গেছে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথগুলোতেও।

তবে ভিড় বেশি হলেও ব্যাংকগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে লেনদেন। স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা। ব্যাংকের প্রবেশপথে নিরাপত্তা রক্ষীরা বিষয়টি কঠোরভাবে পরিপালন করছেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথগুলোতেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও বেশ কয়েকটি এটিএম বুথ ঘুরে দেখা গেছে, এটিএম-এর বাটনে কিছুক্ষণ পরপরই জীবাণুনাশক তরল স্প্রে করা হচ্ছে। ব্যাংক ও এটিএম বুথের মেঝেতেও ছেটানো হচ্ছে জীবানুনাশক। পাশাপাশি এটিএম বুথ ব্যবহার করা পর গ্রাহকের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকরা এইসব বিধিনিষেধ মানতে চাচ্ছেন না।

রাজধানীর মতিঝিলে ডাচবাংলা ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্রাঞ্চে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাংকে প্রবেশের জন্য গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন ব্যাংকের বাইরের রাস্তায় চলে আসছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা ৪/৫ জন করে একসাথে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। তারপরেও ব্যাংকের ভেতরে গিয়ে দেখা গেলে কাউন্টারগুলোতে গ্রাহকদের লেনদেনের দীর্ঘ লাইন। একইচিত্র দেখা গেছে, মতিঝিলের ওয়ান ব্যাংক এবং সোনালি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়েও। এসব ব্যাংকে গ্রাহকদের দীর্ঘলাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যাংকে ঢুকার পথে নিরাপত্তা রক্ষীরা গ্রাহকদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগিয়ে দিচ্ছেন পাশাপাশি ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন।

এ ব্যাপারে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মতিঝিল ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্রাঞ্চের অ্যাসিস্টেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ নাজমুস সাকের সারাবাংলাকে বলেন, আজকে ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থবিধি মেনে গ্রাহকদের সেবা দিতে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস থেকে গ্রাহকদের সুরক্ষা দেযার জন্য আমাদের ব্যাংকে সর ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েকবার ফ্লোরগুলো জীবাণুনাশক ছেটানো হচ্ছে। ব্যাংকে প্রবেশের সময় প্রত্যেক গ্রাহকের হাত স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে এবং মাস্তক না থাকলে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।

অন্যদিকে এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র অ্যাসিষ্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, লকডাউনের কারণে আগামীকাল থেকে ব্যাংকও বন্ধ থাকছে।ফলে আজ ব্যাংকগুলোতে অন্য যে কোন দিনের তুলনায় ভীড় কিছুটা বেশি।

অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকে টাকা তুলতে আসা ফরিদা ইয়াসমীন জানান, লকডাউনের কারণে কিছু বাড়তি টাকা ঘরে রাখা নিরাপদ মনে করছি। তাই ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে আসছি।

সারাবাংলা/জিএস/এএম

করোনা ভাইরাস ব্যাংক লকডাউন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর