ব্যাংক খোলা, গ্রাহক উপস্থিতি খুবই কম
১৫ এপ্রিল ২০২১ ১৩:১৬
ঢাকা: করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ১৩ দফা বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে ব্যাংক খোলা রয়েছে। তবে গ্রাহক উপস্থিতি খুবই কম। অধিকাংশ ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। যারা ব্যাংকে লেনদেন করতে এসেছেন, তাদের বেশির ভাগই টাকা জমা দিতে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, শান্তিনগর, পল্টনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লেনদেন চলাকালীন সময়ে উত্তরা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ডাচবাংলা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, এসআইবিএল, এনআরবিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, রুপালি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যাংক ছিলো ফাঁকা।
গত মঙ্গলবার ‘লকডাউনের’ আগের দিন বেশির ভাগ ব্যাংকে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন ব্যাংক থেকে রাস্তায় চলে যায়। ওইদিন গ্রাহকদের বাড়তি ভিড়ের কারণে চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের। কিন্তু বৃহস্পতিবার ছিল একেবারেই ভিন্ন চিত্র। গ্রাহক না থাকায় ব্যাংকে কর্মীদের বসে গল্প করতে দেখা গেছে।
১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যেই আজ সকালে শুরু হয় ব্যাংক লেনদেন।
এদিকে লকডাউনের কারণে বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোতে উপস্থিতি কম থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে লেনদেন। প্রতিটি ব্যাংকের শাখাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে বাড়তি ব্যবস্থায় নেওয়া হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ব্যাংকের প্রবেশপথে নিরাপত্তা রক্ষীরা বিষয়টি কঠোরভাবে পরিপালন করছেন। ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করতে আসা গ্রাহকদের মাস্ক না থাকলে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথগুলোতেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মতিঝিল ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্রাঞ্চের অ্যাসিস্টেন ভাইস প্রেসিডেন্ট নও ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ নাজমুস সাকের সারাবাংলাকে বলেন, লকডাউনের কারণে আজ ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম। যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই টাকা জমা রাখতে আসছেন। লকডাউনের কারণে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় অনেকে টাকা জমা দিতে ব্যাংকে এসেছেন।
উত্তরা ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান বলেন, লকডাউনের কারণে আজ ব্যাংকে গ্রাহকের তুলনায় অনেক কম। গত মঙ্গলবার গ্রাহকের ভীড়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। কিন্তু আজ কোন ভীড় নেই। যে কযেকজন ব্যাংকে আসছেন তাদের বেশির ভাগই টাকা জমা দিচ্ছেন।
ডাচবাংলা ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা আবুল কাসেম জানান, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাড়তি টাকা ঘরে না রেখে ব্যাংকে রাখা নিরাপদ মনে করছি। তাই ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এসেছি।
সারাবাংলা/জিএস/এএম