Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এখনও পাওয়া গেল না হারানো সাবমেরিনটি, সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে


২৩ এপ্রিল ২০২১ ১৬:০৭

ইন্দোনেশিয়ার হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিন জাহাজটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। যত সময় যাচ্ছে সাবমেরিনটির ক্রুদের জীবনহানির আশঙ্কা বাড়ছে। শনিবারের মধ্যেই জাহাজটি উদ্ধার করা না গেলে, ক্রুদের বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনাই আর থাকবে না। গভীর সমুদ্রে ডুব দেওয়া জাহাজটিতে পানির চাপে অক্সিজেনের মাত্রা কমে আসছে। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা হিসেবে করে জানিয়েছেন, গভীর সমুদ্রে ডুব দেওয়ার পর মাত্র ৭২ ঘণ্টা সাবমেরিনটি টিকতে পারবে। সমুদ্রে পানির চাপে দ্রুত অক্সিজেন ফুরিয়ে যাবে জাহজটির। ফলে জাহাজটির সন্ধান অভিযানে সময়ের বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বুধবার (২১ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের উত্তরে এক প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেওয়া সাবমেরিন জাহাজটি হারিয়ে যায়। জাহাজটির সন্ধান অভিযানে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর পাশাপাশি যোগ দেয় অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও আমেরিকার বিশেষ যুদ্ধজাহাজ ও হেলিকপ্টার। তৃতীয় দিনে এসেও সমুদ্রের গভীর জলে হারিয়ে যাওয়া জাহাজটির কোনো সন্ধানই পাওয়া যায়নি। সাবমেরিনটিতে ৫৩ জন ক্রু ছিলেন। হারিয়ে যাওয়া জাহাজের নাম কেআরআই নানগালা-৪০২ জাহাজ।

বিজ্ঞাপন

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ান নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। এগুলোর একটি গভীর সমুদ্রে শব্দ তরঙ্গ বুঝতে বিশেষভাবে সক্ষম ফ্রিগেট জাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ ওই এলাকায় সাবমেরিন শনাক্তে সামরিক প্রযুক্তিগত বিশেষ সহায়তা পাঠিয়েছে। এছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত ওই এলাকায় সাবমেরিনের সন্ধান পেতে বিশেষ যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার ফার্স্ট এডমিরাল জুলিয়াস উইডজোজোনো বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ওই এলাকা আমরা চিনি কিন্তু সেখানে সমুদ্রের গভীরতা খুবই বেশি’। মূলত সমুদ্রের গভীরতাকেই ভয় হিসেবে জানিয়েছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।

ডিজেল ইলেকট্রিক ক্ষমতার সাবমেরিনটি সমুদ্রের ৫০০ মিটার (১,৬৪০ ফুট) পর্যন্ত গভীরে ডুব দিতে সক্ষম। কিন্তু এই গভীরতার নিচে গেলে সাবমেরিনটি টিকে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বালি সমুদ্রের ওই অঞ্চলের গভীরতা প্রায় ১৫০০ মিটারেরও বেশি।

নৌবাহিনীর বিশেষজ্ঞ কনি রাহাকুন্দিনি বাক্রেই বলছেন, ‘যদি সাবমেরিনটি ৭০০ মিটার গভীরে চলে যায়, তবে এটি টিকে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ এত গভীরে পানির চাপে এটি টিকতে পারবে না’।

কিছু প্রতিবেদন বলছে, প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেওয়া সাবমেরিন জাহাজটিকে গভীর সমুদ্রে ডুব দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই জাহাজটির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঠিক যে জায়গায় জাহাজটি ডুব দিয়েছে সেখানে কিছু তেল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সাবমেরিনটির হয়ত তেলের ট্যাঙ্কের কোনো ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। অথবা এই তেল হয়ত সাবমেরিনটির ক্রুরা সংকেত হিসেবেও ছড়িয়ে দিতে পারেন।

হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটি জার্মানির তৈরি। এটি ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর বহরে থাকা পাঁচটি সাবমেরিনের একটি।

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর