ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চীনে উদ্ভাবিত সিনোফার্মা ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সিনোফার্ম যে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে, আমরা আজকে সেটার ইমার্জেন্সি ইউজের অথরাইজেশন দিয়েছি। এই ভ্যাকসিন কেনা হবে সরকারি পর্যায়ে। চীন অনুদান হিসেবে ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে। এগুলো আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে।
তিনি আরও বলেন, এই ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল হয়েছে চীনে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বিশ্বের পাঁচটি দেশের ৫৫ হাজার মানুষের ওপর হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটি এ ভ্যাকসিনের সব নথিপত্র যাচাই করেছে।
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাদের যে কমিটি আছে, সেই কমিটি এই ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা আজ চীনের সিনোফার্মের এই ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছি।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসার পর প্রথমে ১ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা দেখব এই ভ্যাকসিনের সেইফটি এবং অ্যাফিকেসি কেমন। এরপর গণটিকাদান কার্যক্রমে সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের ব্যবহার করা হবে।
সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের এই ভ্যাকসিনের আনুষ্ঠানিক নাম বিবিআইবিপি-সিওরভি (BBIBP-CorV)। এ ভ্যাকসিন ২৮ দিনের ব্যবধানে দুই ডোজ করে নিতে হয়। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এ ভ্যাকসিন ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকরিতা দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে উৎপাদনকারীরা।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন দেশে প্রয়োগের জরুরি অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
আরও পড়ুন- ‘চীনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিন নিয়েও খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে’