‘করোনায় গণমাধ্যম অস্তিত্বের সংকটে, প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ পরিকল্পনা’
৩ মে ২০২১ ১৬:৫৯
ঢাকা: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যম বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। দ্য ডেইলি বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলছেন, এই সংকট কেবল অর্থনৈতিক সংকট নয়, রীতিমতো অস্তিত্বের সংকট। এই সংকট থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সোমবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী। ঐক্যবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের অঙ্গীকার হোক— এমনটিই প্রত্যাশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ) দিবসটি পালন উপলক্ষে ‘সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদ ও অধিকার এবং গণমাধ্যমের সংকট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে দিনটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান গণমাধ্যম পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক গণমাধ্যমকর্মী বেকার হয়ে চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন। বাংলাদেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য দেশ-বিদেশে প্রসংশিত হচ্ছে।
বিজেআরএফ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক মাইনুদ্দিন আহমদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য গৌতম অরিন্দম বড়ুয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিক কুদরত-ই-খোদা, ভারতীয় গণমাধ্যম ইউএনআইয়ের প্রতিনিধি মীর আফরোজ জামান, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা ও প্রকৌশলী কবির হোসেনসহ অন্যরা।
‘তথ্য জনগণের পণ্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছর বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা তুলে ধরে স্বাগত ও মূল বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। মূল বক্তব্যে কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রয়াত সাংবাদিকদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য জানানোর জন্য অক্লান্ত কষ্ট সহ্য করে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে, এমনকি মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও প্রতিকূল পরিবেশে গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ করতে হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, করোনাকালে অনেক গণমাধ্যমে কর্মীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে অনিশ্চিয়তার দিকে ধাবিতে হচ্ছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ ও বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন হোক সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর