Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভাইরাল ভিডিও’র সেই তরুণীকে খুঁজে পেয়েছে ভারতীয় পুলিশ

সারাবাংলা ডেস্ক
২৯ মে ২০২১ ১৮:২৩

নারী পাচার [প্রতীকী ছবি]

বাংলাদেশ ও ভারতে ভাইরাল ভিডিওতে বিবস্ত্র করে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি তরুণীকে খুঁজে পেয়েছে ব্যাংগালুরু পুলিশ। তাকে কেরালা থেকে ব্যাংগালুরুতে ফিরিয়ে এনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত টিকটক ‍হৃদয় বাবুসহ তার সহযোগীদের সবাইকে এর আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার সবাইও বাংলাদেশি।

শনিবার (২০ মে) বিকেলে ভারতের আসামভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘টাইম এইট’ এ খবর দিয়েছে। নির্যাতনের শিকার এই তরুণীর গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। ঢাকায় মা-বাবার সঙ্গে হাতিরঝিলে থাকতেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ব্যাংগালুরু পুলিশের বরাত দিয়ে টাইম এইটের খবরে বলা হয়, ব্যাংগালুরুতে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী পালিয়ে কেরালায় চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে নিরাপদে ব্যাংগালুরুর বাইয়াপ্পানাহাল্লি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় বাউরিং হাসপাতালে।

আরও পড়ুন-

পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে আগামীকাল শনিবার (৩০ মে) আদালতে উপস্থাপন করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, মেয়েটিকে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের পাশাপাশি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলও করা হয়।

বাংলাদেশ ও ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িতরা বাংলাদেশি নাগরিক। তারা সবাই একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের সদস্য। ভাইরাল ভিডিওতে নির্যাতনের শিকার তরুণীকেও ভালো বেতনে কাজ দেওয়ার কথা বলে অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। সেখান থেকে তিনি পালালে তাকে খুঁজে বের করে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়, একইসঙ্গে সে ঘটনার ভিডিওধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভিডিওটি বাংলাদেশ এবং ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে ভাইরাল হয়। সেটি সাইবার মনিটরিং টিমের নজরে এলে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে। নির্যাতক হিসেবে রিফাতুল ইসলাম ওরফে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’কে শনাক্ত করে পুলিশ। তার বাসা মগবাজার। তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কৌশলে যোগাযোগ করে জানা যায, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে, ১৫-২০ দিন আগে। মেয়েটির নাম-ঠিকানাও জেনে নেওয়া হয় তার কাছ থেকে। পুলিশ মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মেয়েটির পরিবারও তাকে চিনতে পারে। পরে মেয়েটির বাবা হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, ভাইরাল ওই ভিডিও থেকে নির্যাতকদের ছবির স্ক্রিনশট নিয়ে আসাম পুলিশ টুইটারে পোস্ট করে। তাদের সন্ধান দিতে পারলে তার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাংগালুরু থেকে টিকটক হৃদয় বাবু, সাগর, মোহাম্মদ বাবা শেখ ও হাকিল নামে চার তরুণ এবং এক তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নারীর পরিচয় জানানো হয়নি। এ ঘটনায় ব্যাংগালুরুতেও একটি মামলা হয়েছে।

এর মধ্যে শুক্রবার গ্রেফতার চার তরুণকে নিয়ে ব্যাংগালুরু পুলিশ তদন্তের জন্য ওই ভিডিও’র ঘটনাস্থলে যায়। এসময় টিকটক হৃদয় ও সাগর পুলিশকে আক্রমণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি করে। পরে গুলিবিদ্ধ টিকটক হৃদয় ও সাগরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

তরুণীকে উদ্ধার পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর