ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি আয়ের ৬৭.২১ শতাংশ ওয়ালটনের
১ জুন ২০২১ ১৫:৩২
ঢাকা: করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতনিতে এসেছে দুর্দান্ত সাফল্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই ২০-মার্চ ২১) ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানির পরিমান আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে আট গুণ বেড়ে ১২.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মোট রফতানির প্রায় ৬৭.২১ শতাংশ আয় এককভাবে অর্জন করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবি’র তথ্যমতে, বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি তালিকায় রয়েছে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার, রাইসকুকার, গ্যাস স্টোভ, ইন্ডাকশন কুকার, ফ্যান, হট প্লেট, রেফ্রিজারেটর কম্প্রেসর ও কম্প্রেসরর তৈরির যন্ত্রাংশ।
ইপিবি’র প্রকাশিত পণ্য ভিত্তিক তথ্যানুসারে, গত জুলাই থেকে মার্চ’২১ পর্যন্ত সময়ে দেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ বা ১২.২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) একই সময়ে এ খাতের রফতানি আয়ের পরিমান ছিল প্রায় ১৪ লাখ ৩৮ হাজার বা ১.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশের ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যে রফতানি বেড়েছে সাড়ে আট গুণ।
ইপিবি’র তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইলেনকট্রনিক্স খাতের রফতানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি এই শিল্পকে সম্ভাবনাময় নতুন রপ্তানি খাত করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন
ওয়ালটনের মতো দেশের অন্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও রফতানি বাণিজ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশি কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সের সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে। বিশ্ববাজরে প্রতিযোগি মূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উচ্চ গুণগতমান পণ্য দেওয়ার যথেষ্ট সামর্থ্যও রয়েছে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের।’
দেশীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টিতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, “কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সের আন্তর্জাতিক বাজারকে টার্গেট করে ওয়ালটন নিয়েছে ‘ভিশন ২০৩০’। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে ওয়ালটন। লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে রোডম্যাপ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ডের নামে পণ্য তৈরির মাধ্যমেও রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করছে ওয়ালটন।”
সারাবাংলা/এমও