চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণ: ৪ আসামি ফের রিমান্ডে
২ জুন ২০২১ ২০:১৮
আশুলিয়া: চলন্ত বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ আসামির মধ্যে চার জনের ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদের মধ্যে একজন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে রিমান্ডে চায়নি পুলিশ।
বুধবার (২ জুন) দুপুরে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে ফের ৫ দিনের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম।
বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শিকদারের আদালতে এই রিমান্ড শুনানি শেষে চার জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এ সময় মনোয়ার নামে একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এই মামলায় এর আগে শনিবার (২৯ মে) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪)।
ফের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া চার আসামি হলো — ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ২৯ মে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ছয় আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। সেদিন ম্যাজিস্ট্রেট শাহাজাদী তাহমিদার আদালতে বাসচালক সুমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পরে, প্রথম দফা রিমান্ড শেষে আরও এক জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় বাকি চার জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২৮ মে মধ্যরাতে আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয় এক তরুণী। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে ও মিনিবাসটি জব্দ করা হয়। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে শনিবার (২৯ মে) ছয় আসামিকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
সারাবাংলা/একেএম