‘নাসিরকে রিমান্ডে নিলে উচ্চ মহলের কিছু কালোমুখের সন্ধান পাব’
১৫ জুন ২০২১ ১৯:১৭
ঢাকা: নাসির উদ্দিন মাহমুদ একজন উচ্চ মহলের ব্যক্তি। উচ্চ মহলে যে অপরাধগুলো সংঘটিত হয়, সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে তিনি কিছু তথ্য দিয়েছেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেই মহলের কিছু কালোমুখের সন্ধান পাওয়া যাবে। এজন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আদালতে এ যুক্তিতেই নাসির ও অমিসহ পাঁচ আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) উদয় কুমার মন্ডল আদালতে এ যুক্তি তুলে ধরেন।
এদিন শুনানি শেষে আদালত নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন এবং লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন-
- ‘আমি সুইসাইড করার মেয়ে না’
- অমির বাসায় লুকিয়ে ছিলেন নাসির
- ভয়ংকর সে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন পরীমনি
- পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার আদালতে
- ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন পরীমণি
- পরীমনির মামলায় নাসির-অমিকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ
- পরীমণি সম্পর্কে সোহানের আপত্তিকর মন্তব্য , সমালোচনার ঝড়
- পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ গ্রেফতার ৫
- পরীমনির মামলার আসামি নাসির-অমি মাদকের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছেন, তারা পারস্পরিক যোগসাজসে অবৈধ উপায়ে নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য, বিদেশি মদ ও ইয়াবা সংগ্রহ করেন। পরে সেগুলো সেবন, বিক্রি ও অন্যের বিক্রির কাজে সহায়তা করে আসছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক সংগ্রহ ও বিক্রির কথা স্বীকার করলেও সংগ্রহের উৎস সম্পর্কে অসংলগ্ন তথ্য দিয়েছেন।’
মাদকের সঙ্গে জড়িত চক্রের মূল রহস্য উদঘাটন ও উৎস জানা এবং ইয়াবা ট্যাবলেট সরবরাহকারী মূল হোতাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদ প্রয়োজন বলে আবেদন করেন এ তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবুসহ কয়েকজন ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। নাসির উদ্দিনের পক্ষে ঢাকা বারের সভাপতি আব্দুল, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোহাম্মদ হযরত আলী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
এদিকে, গ্রেফতার আসামিদের সাভার থানায় দায়ের করা পরীমনির মামলাতেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চাইছেন তদন্ত কর্মকর্তা। মাদক মামলায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার এই মামলার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম