ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে মারামারির পর পাল্টাপাল্টি মামলা
১৭ জুন ২০২১ ২০:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারির ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনু ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমসহ মোট ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) নগরীর চকবাজার থানায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের পক্ষে আহত আবদুল্লাহ আল সাইমন একটি মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের পক্ষে মো. আনসার নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে, বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম কলেজের বন্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে কমপক্ষে চার জন আহত হন। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের গ্রুপের মধ্যে এই মারামারি হয়। মাহমুদুল করিমের অভিযোগ ছিল, সন্ত্রাসে অভিযুক্ত স্থানীয় কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনু বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে হামলা করে। অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত সুভাষের অভিযোগ ছিল, মাহমুদুলের অনুসারীরা স্থানীয় ‘মাদকসেবী ও টোকাইদের’ সঙ্গে নিয়ে হামলা করে।
আরও পড়ুন- চট্টগ্রাম কলেজের বন্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে মারামারি
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মারামারিতে জড়িত দুইপক্ষ আলাদাভাবে মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারী সাইমনের দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন— নুর মোস্তফা টিনু, আমির উদ্দিন, জিয়াউদ্দিন আরমান, সৌরভ উদ্দিন বাপ্পা, সিরাজুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দিন, মনির উদ্দিন, আবুল কালাম, আনসার উদ্দিন, মন্টি চৌধুরী, ইমন হোসেন, মো. আবদুল্লাহ এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন।
এদের মধ্যে নুর মোস্তফা টিনু ২০১৯ সালে র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন। স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আছে বলে সেসময় র্যাব জানিয়েছিল। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি মন্ত্রী থাকার সময় টিনু মন্ত্রীর অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। বর্তমানে টিনু নিজেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন।
অন্যদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের পক্ষে আনসারের দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন— মাহমুদুল করিম, আবদুল্লা আল সাইমুন, জাহিদ হাসান সাইমন, সাফায়েত হোসেন রাজু, মোস্তফা আমান, কায়েস মাহমুদ, শেফায়ুতুল করীম, কাইয়ুম, ওয়াহিদুর রহমান সুজন, মেহরাজ সিদ্দিকী পাভেল, আবু তোরাফ এবং তৌহিদুল করিম ইমন। এছাড়া মামলা অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উভয় মামলায় পরস্পরকে হত্যার উদ্দশ্যে মারধর, সাধারণ ও গুরুতর জখম, চুরি এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ দু’জনেই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর