Wednesday 16 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নারীদের করোনা অ্যান্টিবডির হার পুরুষের চাইতে বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২২ জুন ২০২১ ১৮:৩৫

ঢাকা: নারীদের মধ্যে অ্যান্টিবডির হার পুরুষের চাইতে বেশি। নারীদের মধ্যে অ্যান্টিবডির হার ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ আর পুরুষদের শরীরে অ্যান্টিবডির হার ৬৬ শতাংশ। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে বস্তি ও বস্তিসংলগ্ন এলাকার সোয়া তিন হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে মানুষের নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া এই অ্যান্টিবডির হার পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) তাদের এক গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) এক ওয়েবিনারে এই গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ করে আইসিডিডিআর,বি।

বিজ্ঞাপন

দেশে করোনা সংক্রমণের বিস্তার নির্ণয়ের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তি এবং বস্তিসংলগ্ন এলাকায় ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই গবেষণা চালায়। গবেষণায় প্রধান গবেষক ছিলেন আইসিডিডিআর,বি’র ডা. রুবহানা রাকিব ও ড. আবদুর রাজ্জাক। আর গবেষণায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)। এ গবেষণায় অ্যাডভোকেসি পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ।

গবেষণায় গৃহস্থালি পর্যায়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, রক্তচাপ পরীক্ষা ও পুষ্টি পরিস্থিতি জানার পাশাপাশি মোট তিন হাজার ২২০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বস্তি এবং বস্তির বাইরে বসবাসকারীদের রক্তে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি এবং তার সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করা।

এরই অংশ হিসেবে গত পাঁচ মাসে তিন হাজার ২২০ জনের মধ্যে করা এ গবেষণায় প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বয়স্ক ও তরুণদের মাঝে এর হার প্রায় সমান। গবেষণার জন্য এসব এলাকায় বসবাসকারী করোনার উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গহীন ব্যক্তিদের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়।

বিজ্ঞাপন

ওয়েবিনারে জানানো হয়, গবেষণায় ভিটামিন ডি’র অপর্যাপ্ততার সঙ্গে সেরোপজিটিভিটির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি, বরং গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ভিটামিন ডি’র উচ্চমাত্রার ঘাটতি দেখা গেছে।

আইসিডিডিআর,বি জানায়, এ সমীক্ষার মাধ্যমে সেরোপজিটিভিটি (রক্তে SARS-CoV-2–এর উপস্থিতি) সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য যেসব কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে, সেগুলো হলো— শরীরে অন্যকোনো শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাসের উপস্থিতি, পুষ্টিগত অবস্থা (যেমন: ভিটামিন ডি, জিংক, সেলেনিয়াম) এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।

এতে জানানো হয়, সেরোনেগেটিভ ব্যক্তিদের তুলনায় সেরোপজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে সেরাম জিংকের মাত্রা বেশি দেখা গেছে। এটাই হয়তো গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে রোগের মৃদু লক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও অ্যান্টিবডি পাওয়ার কারণ জানিয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, লক্ষণ উপসর্গ ছাড়াও অনেকে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন। যে কারণে তাদের মধ্যে সেরোপজিটিভিটি তৈরি হয়েছে। তবে তা কেন হয়েছে তা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি গবেষণায় আমরা একই প্যাটার্ন দেখেছি। ওই সব গবেষণায় দেখা গেছে— বস্তি এলাকার মানুষ ভাইরাসের সংস্পর্শে বেশি এসেছে। যে কারণে তাদের শরীরে অ্যান্টবডি তৈরি হযেছে। করোনাভাইরাসের ৯০ শতাংশই লক্ষণ-উপসর্গহীন হয়, সুতরাং বস্তিতে বেশি হওয়ার কারণ এটা। তবে তা কেন হয়েছে তা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন আছে বলেও জানান ডা. মাহমুদুর রহমান।

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাস টপ নিউজ নারী পুরুষ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শীত না এলেও কুয়াশা এসে গেছে
১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:০২

সম্পর্কিত খবর