উচ্চশিক্ষায় ৪টি মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ করবে ইউজিসি
২৯ জুন ২০২১ ২০:৫৫
ঢাকা: উচ্চশিক্ষাস্তরে চারটি মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
কমিশন পুস্তক প্রকাশ এবং গ্রন্থস্বত্ব বিষয়ে পাণ্ডুলিপি প্রণেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (২৯ জুন) পৃথক সমঝোতা স্মারক সই করেছে। ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান এবং গ্রন্থের লেখকরা চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের উপ-পরিচালক মো. শাহীন সিরাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একই বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থগুলো হলো- খুলনা প্রকৗশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমিনুল হক আকন্দের Deep Learning Fundamentals- A Practical Approach to Understanding Deep Learning Methods’, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রকৌশলী রবীন্দ্র রঞ্জন সাহা’র Introduction to Open Channel Hydraulics’, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামানের ‘মধুসূদন দত্ত ও দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসনে সেকালের সমাজ’ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসানউল্লাহ ফয়সালের ‘Haji Shariatullah’s Fraizi Movement, History-Da’wah and Political Ideology’.
প্রকৌশলী সাহা’র গ্রন্থের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং পাঠকেরা পানির গতি-প্রবাহ, বন্যার প্রকোপ কমানোর উপায়, অধ্যাপক আকন্দের গ্রন্থে ডিপ ও মেশিন লার্নিং বিষয়ে আদিঅন্ত, অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের গ্রন্থে ‘মধুসূদন দত্ত ও দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসনে’ সমাজ সংস্কারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারবে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিতে হলে গবেষণা করতে হবে। উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখতে, সমাজ ও দেশকে মানবিক করতে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কমিশন আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা গ্রন্থ ও পুস্তক প্রকাশে গভীর মনোযোগ দিচ্ছে। দেশে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এখাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘মানসম্মত গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশে ইউজিসি সর্বোচ্চ আর্থিক সহযোগিতা দেবে। গবেষক ও লেখকদের সৃজনশীল কাজ ও মেধার যথাযথ মূল্যায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে উচ্চশিক্ষাস্তরে বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশের আহ্বান জানান।
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম