৩ তরুণ মিলে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১
২৮ জুলাই ২০২১ ০৯:০৫
বেনাপোল (যশোর): জেলার শার্শা উপজেলাধীন বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামে তিনজন তরুণ মিলে ১৩ বছরের স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টায় অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী তরুণী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত সোমবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টার সময় এ ঘটনা ঘটে। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত তিন তরুণের নাম— উপজেলার সেনাতনকাটি গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে সাগর (১৮), শফিকুল ইসলামের (কলু) ছেলে সুমন (১৮) ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া উপজেলার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দারের ছেলে নাহিদ হাসান (২৫)। এর মধ্যে সাগরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত সোমবার রাত ৯টার সময় প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ফিরছিলেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এ সময় অন্ধকারে তার পথ আটকে মুখ চেপে ধরে টেনে হেঁচড়ে পুকুর পাড়ের জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে আসামিরা। এরপর ভুক্তভোগীকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে মারা চেষ্টা করে তারা। পরে শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরের পানি থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও জানা গেছে, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বাড়িতে ঘটনার বর্ণনা দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। গত সোমবার রাতে সনাতনকাটি গ্রামের ভিতরে একটি রুমের মধ্যে সালিশি বৈঠকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে অর্থের প্রলোভন দেখান হলে শিক্ষার্থীর বাবা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সুবিচার দাবি করেন। এতে করে গ্রাম্য সালিশের আয়োজনকারীরা তার ওপর চড়াও হয়। এর এক পর্যায়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিটের পেয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করার খবর পেয়ে সালিশের আয়োজনকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানান হলে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামি সাগরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে ওসি বদরুল আলম খান জানান, মঙ্গলবার সকালে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সাগর স্বীকার করেছে— তারা তিনজন মিলে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে। বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর সদর হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস