মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের
১ আগস্ট ২০২১ ২২:১৬
বগুড়া: বগুড়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক মেয়েটির বাবা আহত হয়েছেন।
রোববার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কাগইল রাস্তার মোড় নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জনার্দনপুর গ্রামের গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তা আলতাফ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার শিমু (৪৫) ও মেয়ে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরিন জাহান অমি (১৫)। আলতাফ আলী নিজেই মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, আলতাফ আলী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহরে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন। তার মেয়ে অমি বগুড়ায় লেখাপড়া করার কারণে পরিবার বগুড়া শহরের লতিফপুর মধ্যপাড়ায় বসবাস করত। রোববার বিকেলে আলতাফ আলী তার গ্রামের বাড়ি থেকে স্ত্রী-কন্যাকে বগুড়া শহরের বাসায় পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেলে করে রওনা হন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে শিবগঞ্জ উপজেলার কাগইল রাস্তার মোড় এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারালে মা-মেয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে মহাসড়কে পড়ে যান। এসময় বগুড়াগামী একটি বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। মোটরসাইকেলের চালক আলতাফ আলী এসময় আহত হন।
দুর্ঘটনার পরপরই বাসটি দ্রুত গতিতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আলতাফ আলী তার নিহত স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান।
শিবগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলজার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। অনেক সময় অপেক্ষা করার পর পুলিশ না পৌঁছলে মরদেহ স্বজনে কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, ওই পরিবার কোনো অভিযোগ না করায় তাদের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর