জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সরকার ‘নতুন গীত’ গাইছে: ফখরুল
২ আগস্ট ২০২১ ১৬:৫৫
ঢাকা: জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সরকার ‘নতুন গীত’ গাইছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২ আগস্ট) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। লালমনির হাট জেলা বিএনপির উদ্যোগে করোনা হেল্প সেন্টার উদ্বোধন ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি উপলক্ষে এ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত’- ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্য়ায়ের নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এদের (আওয়ামী লীগ সরকার) কাজ কী? এদের কাজ হচ্ছে সারাক্ষণ বিএনপিকে দোষারোপ করা, জিয়াউর রহমানকে কীভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় তার চেষ্টা করা, কীভাবে খালেদা জিয়াকে খাটো করা যায় তার চেষ্টা করা।’
তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সম্মানিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেভাবে হত্যা করা হয়, সেটার ব্যাপারে আমরা নিন্দা জানিয়েছি, আমাদের নেতা (জিয়াউর রহমান), আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে সব সময় নিন্দা জানিয়েছেন। আমরা কেউই কোনো হত্যাকাণ্ড সমর্থন করি না। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, বিচার করেছেন আপনারা (আওয়ামী লীগ সরকার)। সেই বিচারের পরে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। অথচ আপনারা এখন শুরু করেছেন নতুন একটা গীত। আপনাদের গীত যে, জিয়াউর রহমান এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোথাও প্রমাণ করতে পারেনি, কেউ না। আজ পর্যন্ত কেউ এই কথা বলে নাই যে, জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান তো তখন ডেপুটি চিফ মার্শাল অ্যাডমিনিস্টারও ছিলেন না। তিনি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ছিলেন মাত্র। সেনাপ্রধান ছিলেন শফিউল্লাহ (কেএম শফিউল্লাহ)। সেই শফিউল্লাহ তো গিয়ে খন্দকার মোশতাককে স্যালুট করেছেন, একে খন্দকার সাহেব (বিমান বাহিনী প্রধান) স্যালুট করেছেন, নেভাল চিফ স্যালুট করেছেন। আপনাদের খন্দকার মুশতাকের সঙ্গে পুরো ৩১ জনের মন্ত্রিসভা শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে মন্ত্রিত্বের শপথ নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড তো আপনারা ঘটিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। অন্য কেউ এর সঙ্গে জড়িত ছিল না। যারা করেছে তারা সামরিক বাহিনীর লোক। তাদের সঙ্গে আপনারা যুক্ত ছিলেন বলেই আপনারা করেছেন। সুতরাং মাছ দিয়ে শাক ঢাকার চেষ্টা করবেন না। নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য অন্যকে দোষারোপ করে লাভ নেই। নিজেরা পরিষ্কার হোন, পরিচ্ছন্ন হোন, পরিশুদ্ধ হোন। হত্যার রাজনীতি বাদ দেন এবং সন্ত্রাসের রাজনীতি বাদ দেন। জনগণকে প্রতারণা করবার রাজনীতি বাদ দেন। বাদ দিয়ে আপনারা সঠিকভাবে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা সেই আকাঙ্ক্ষা পুরণ করেন। ১৯৭২ সালের যে সংবিধান সেই সংবিধান মতো কাজ করেন।’
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম