ডিএনসিসির পার্ক-খেলার মাঠ উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ আবারও বাড়ছে
১৮ আগস্ট ২০২১ ১২:২০
করোনা মহামারির কারণে বাস্তবায়ন কাজে ধাক্কা লেগেছে। তাই সংশোধন করা হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়নে হাতে নেওয়া প্রকল্প।
ইতোমধ্যেই ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠিত পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ভৌত অবকাঠমো বিভাগের ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ উইং-২ এর যুগ্ম প্রধান জানান, কার্যকর, টেকসই ও বসবাস উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ এবং পরিবেশ উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পটি নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ প্রকল্পটি একনেক অনুমোদন করে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৯ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। পরবর্তী সময়ে আরও একবছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এবার ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সংশোধিত প্রকল্পটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৪২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। যা সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ব্যয় করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) তারিক বিন আজিজ সারাবাংলাকে বলেন, সংশোধিত প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি।
প্রকল্পটি দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, করোনা মহামারির কারণে ঠিকমতো কাজ করা যায়নি। সেইসঙ্গে অর্থছাড়ও ঠিকমতো হয়নি। তাই এখন সংশোধন করতে হচ্ছে।
পিইসি সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ডিএনসিসি এলাকায় ৫০টি পার্ক ও খেলার মাঠ রয়েছে। যার মধ্যে ২২টি পার্ক ও চারটি খেলার মাঠ ডিএনসিসির মালিকানাধীন। এসব খেলার মাঠ ও পার্কগুলোতে অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় চারটি পার্ক বাদে ১৮টি পার্ক ও চারটি খেলার মাঠের আধুনিকায়ন, ২৩টি পাবলিক টয়লেটের সংস্কার ও ৫০টি নতুন আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ, দুটি কবরস্থানের উন্নয়ন এবং একটি আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত জবাইখানা সংস্কার করে ঢাকা শহরকে উন্নতমানের বাসযোগ্য শহর হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে প্রকল্প পরিচালক পিইসি সভায় বলেন, সংশোধনী প্রস্তাবে চারটি পার্ক, দুটি কবরস্থান ও তিনটি আধুনিক পশু জবাইখানা নির্মাণের প্রস্তাব বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সাইটে ক্লাব ঘর ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা থাকায় ঠিকাদারকে সময়মতো সাইট বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তাই বিভিন্ন অঙ্গগুলোর সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, মূল অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তবে (ডিপিপি) ২২টি পার্ক ও ৪টি খেলার মাঠের উন্নয়ন বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। কিন্তু সংশোধিত ডিপিপিতে ৪টি পার্ক বাদ দিয়ে এ অঙ্গে প্রস্তাব করা হয়েছে ১২৯ কোটি ৯৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়নের ব্যয় প্রাক্কলনের ভিত্তি এবং চারটি পার্ক বাদ দেয়ায় কারণ জানতে চাওয়া হলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বারিধারা নার্সারি পার্ক, ফার্মগেট আনোয়ারা উদ্যান, ফার্মগেট ত্রিকোণ পার্ক এবং মিরপুর পুদারাঘাট এই চারটি পার্ক বাদ দেয়া হয়েছে। বারিধারা পার্কটি বারিধারা সোসাইটি কর্তৃক উন্নয়ন করা হয়েছে। ফার্মগেট অবস্থিত পার্ক দুটি মেট্রোরেলের কারণে এবং মিরপুরের পার্কটি মালিকানা জটিলতার জন্য বাদ দিতে হয়েছে।
সারাবাংলা/জেজে/এএম