‘ভোট ডাকাতির মতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও ডাকাতি করা হচ্ছে’
২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভোট ডাকাতির মতো বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও ডাকাতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর নুর আহমদ সড়কে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় শাহাদাত একথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছেন। এতে মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে থাকার জন্য মন্ত্রীরা শহীদ জিয়াকে নিয়ে প্রলাপ বকছেন। শহীদ জিয়া, তার নেতৃত্বাধীন জেড ফোর্স, সেক্টরের সাহসী ও গৌরবজনক অবদান নিয়ে নিকৃষ্ট মিথ্যাচার যারা করছে, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার ও বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের দল। শহীদ জিয়া চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে ‘উই রিভোল্ট’ বলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন জিয়াউর রহমান। এই অবদানের জন্য তিনি এখনও দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘মিথ্যাচারের নেশায় পেয়ে বসেছে বর্তমান সরকারকে। দেশ পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা, লুটপাট আর করোনা মোকাবিলা ও টিকা সংগ্রহে ব্যর্থতা আড়াল করতে তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মিথ্যাচারে মেতে উঠেছে।’
নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফা, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দীন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান, মাহবুবুল আলম, নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু।
সারাবাংলা/আরডি/এমও