‘এলডিসির পরও বাংলাদেশে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে ইইউ’
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০৯
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় রফতানি বাজার।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাণিজ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মিজ রিনসজে টেরিংক সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর ১২ বছর এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য সুবিধা পাওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এলডিসিভুক্ত হওয়ার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর রফতানি বাণিজ্যে সুবিধা আদায় ও নিগোসিয়েশনে ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেজন্য তদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নের জন্য ইইউর সহযোগিতা রয়েছে। বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাক রফতানিতে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প এখন একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। চলতি করোনা মহামারির (কোভিড-১৯) কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে সহযোগিতা দিচ্ছে। কোভিড-১৯ এর কঠিন সময়েও বাংলাদেশ অর্থনীতির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেছে। সরকার এবং তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে শ্রমিকদের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মিজ রিনসজে টেরিংক বলেন, ‘বাংলাদেশ ইইউয়ের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তারা বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশকে দেওয়া ইইউর বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করেছে।’
বাংলাদেশে চার বছর দায়িত্ব পালনে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি চমৎকার ও সম্ভাবনাময় দেশ। আগামী দিনেও ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
এ সময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম