কাদের মির্জার শাস্তি না হলে নোয়াখালী অচল করার হুমকি জাপার
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৪৯
নোয়াখালী: জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে মারধর করার অভিযোগে বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার শাস্তি দাবি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে জেলা অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পার্টির নেতারা।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে জেলা শহর মাইজদী টাউন হল মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা জাতীয় পার্টি। জেলা জাতীয় পার্টি মধ্যযুগীয় কায়দায় জাপা নেতাকে নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।
সমাবেশে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে পুরো জেলা অচল করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় টাউন হলের মোড়ের প্রধান সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহাম্মেদ মিঠুর সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন- জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি অহিদ উদ্দিন মুকুল, নজরুল ইসলাম, মো. নুর নবী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, মোছাদ্দেকুর রহমান, আলী হোসেন, শ্রমিক পার্টির সভাপতি মিলন সিকদারসহ অন্যরা।
সমাবেশে বক্তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আব্দুল কাদের মির্জার শাস্তি দাবি করেন। অন্যথায় প্রত্যেকটা উপজেলাকে অচল করে দেওয়া হবে এবং বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। জাপা নেতারা এসময় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
নির্যাতিত স্বপন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ (কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিল। এছাড়াও নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাপা নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপনকে বসুরহাট বাজারের কালামিয়া ম্যানশনের সামনে থেকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা তুলে নিয়ে যান। এরপর রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তাঁকে আটকে রেখে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেন তার ছেলে মইনুল ইসলাম শাওন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ মেম্বারকে ডেকে নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁর কাছে স্বপনকে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে নিরাপত্তার অভাবে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখন বাসায় আহত ওই নেতার চিকিৎসা চলছে।
সারাবাংলা/এমও