Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আফগান কিশোরী ফুটবলারদের আশ্রয় পর্তুগাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১ অক্টোবর ২০২১ ০৩:২৭

আফগানিস্তানের কিশোরী ফুটবল দলের নতুন আশ্রয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আফগান যুব ফুটবল দলের সদস্যদের আশ্রয় ভিসা নিশ্চিত করেছে দেশটি।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের দখল উগ্রবাদী তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর নারীদের খেলাধুলার উপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনামলের অভিজ্ঞতা থেকে এবার নারীরা আগে থেকেই তালেবান শাসন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর নারী ফুটবলাররা দেশ ছেড়ে চলে যান। গত ১৯ সেপ্টেম্বর আফগান কিশোরী ফুটবলাররা পর্তুগালে পৌঁছান। প্রায় ১১ দিন পর তাদের আশ্রয় ভিসা দেয় পর্তুগাল।

বিজ্ঞাপন

১৫ বছর বয়সী সারাহ পর্তুগালে আশ্রয় পাওয়া ফুটবলারদের মধ্যে একজন। তিনি জানান, মাতৃভূমি ছেড়ে আসা মোটেও আনন্দদায়ক ছিল না। তবে বর্তমানে তিনি এমন এক দেশে আশ্রয় পেয়েছেন যেখানে তার পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। পাশাপাশি তার ফুটবল আদর্শ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গেও দেখা হওয়ার সুযোগ হবে।

রয়টার্সকে সারাহ বলেন, ‘আমি মুক্ত। আমার স্বপ্ন রোনালদোর মতো একজন খেলোয়াড় হওয়া। এবং আমি পর্তুগালে একজন বড় ব্যবসায়ীও হতে চাই।’ সারাহ তার নিজ দেশ আফগানিস্তানে একদিন ফিরে যাবেন বলে আশা করেন। ওই দেশে যদি তিনি মুক্তভাবে বাস করতে পারেন তবেই কেবল ফিরতে চান তিনি।

আফগানিস্তান সিনিয়র নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ফারখুন্দা মুহতাজ। গত বুধবার কানাডা থেকে তরুণ দলের সঙ্গে দেখা করতে পর্তুগালের লিসবনে পৌঁছান তিনি। তার হঠাৎ উপস্থিতিতে কিশোরী খেলোয়াড়রা দারুণ খুশি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমরা মেয়েদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে এনেছি কারণ আমরা চাই তারা যে খেলাটাকে ভালোবাসে সেটি যেন খেলে যেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

ফারখুন্দা মুহতাজ বর্তমানে কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ফুটবলারদের কোচ হিসেবে কাজ করছেন। আফগানিস্তান থেকে কিশোরী ফুটবলারদের সরিয়ে আনার অভিযানটির পূর্ণ তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। এ অভিযানের কোডনেম ছিল ‘অপারেশন সকার বলস’। অভিযানে কিশোরী ফুটবলার ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ৮০ জনকে উদ্ধার করা হয়।

বুধবার রাতে মুহতাজ যখন পর্তুগালে হাজির হন, তখন মেয়েরা আনন্দে তাকে জড়িয়ে ধরে। অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। পুরো উদ্ধার অভিযানের সময় মেয়েদের মানসিক শক্তির প্রশংসা করে রয়টার্সকে মুহিতাজ বলেন, ‘তারা অনেক, অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছে। তারা দৃঢ় ছিল এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে।’

এক ফুটবলার পরিবারের সদস্য ২৫ বছর বয়সি জাকি রাসা কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার কথা স্মরণ করে জানান, ওই চরম সময়ে তিনি কাবুল বিমানবন্দরে তিন দিন কাটিয়েছিলেন। তিনি জানান, পর্তুগালে আশ্রয় পেয়ে আনন্দিত তারা। যদিও ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এখন তারা নিরাপদ।

উল্লেখ্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের জাতীয় যুব নারী ফুটবল দলের সদস্যরা গোপনে সীমানা পেরিয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তানে আশ্রয় নেন বলে জানায় ইসলামাবাদ। ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে নেওয়ার পর প্রায় এক মাস নানা জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন ৩২ নারী ফুটবলার এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। পরে ফুটবল ফর পিস নামের একটি সংগঠনের মধ্যস্থতায় মোট ৮১ জনকে আশ্রয় দিতে সম্মত হয় পাকিস্তান।

আরও পড়ুন 

সারাবাংলা/আইই

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর