চবির ২ শিক্ষককে অবমাননার প্রতিবাদ
৪ অক্টোবর ২০২১ ১৯:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষককের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচারণপূর্ণ স্লোগান, আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগে গালাগাল ও হুমকি দিয়ে অসম্মান, অবমাননা করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে চবি শিক্ষক সমিতি। সেইসঙ্গে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানান তারা।
দুজন শিক্ষক হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবু তাহের এবং সাবেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মুহাম্মদ জাকির হোসেন।
প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, কতিপয় বিপথগামী ছাত্র নামধারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারণপূর্ণ স্লোগান, আপত্তিকর শব্দপ্রয়োগে গালাগাল ও হুমকি দিয়ে অসম্মান, অবমাননা করে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ক্যাম্পাসে দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান ও শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দিয়ে মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তাদের দু’জনের মতামত ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের সূত্র ধরে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-নামধারীদের এমন বিষোদগারে সকল শিক্ষক বিব্রত, মর্মাহত ও অপমানিত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ৭৩’র বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে হেয় প্রতিপন্নকারী এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নিন্দা জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষক অবমাননাকারীদের এমন আচরণ মুক্তচিন্তা ও গণতন্ত্র চর্চার অন্তরায় এবং এ বিষয়ে দায়িত্বশীলদের নির্লিপ্ততা ও শৈথিল্য প্রদর্শন কখনো কাম্য নয়। কারণ, এর পরিণতি ভয়ংকর হতে পারে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে। শিক্ষকদের অবমাননাকারী ও হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জোর দাবি জানাচ্ছে।
সারাবাংলা/সিসি/পিটিএম