Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওবায়দুল কাদেরের কথায় ঘোড়াও হাসতেছে: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ অক্টোবর ২০২১ ১৫:৩৪

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথায় ঘোড়াও হাসতেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের বর্ধিত সভা উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল খুব কথা বলেন প্রত্যেক দিনই, বিভিন্ন রকম কথা বলেন। অনেকে খুব আমোদও পায় তার কথায়। তিনি কালকে বলেছেন বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র নাই- এ কথা শুনলে..। একটা গল্প আছে পুরোনো ঢাকার। যারা অর্জিনাল ঢাকাইয়া এরা খুব বুদ্ধিমান, আবার রসিকতা করতে পারে খুব ভালো।’

‘যখন আমরা ঢাকা কলেজে পড়তাম। তখন ঢাকাতে খুব ঘোড়ার গাড়ি ছিল। আমরা ফুলবাড়িতে নেমে ঘোড়ার গাড়িতে করে হলে যেতাম। তো ঘোড়ার গাড়িতে উঠে জিজ্ঞেস করতাম কত নেবে? সে বলত ২ টাকা। আমরা বলতাম- তুমি চার আনা পাবা। বলার সঙ্গে সে ঘোড়ার লাগাম ধরে টান দিতো। টান দিলেই ঘোড়া হা হা করে উঠতো। তখন সে বলত, সাব আপনার কথা শুইনা ঘোড়া ভি হাসতাছে। তো এখন তার (ওবায়দুল কাদের) কথায় ঘোড়ায়ও হাসতেছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন খুব বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটা কীসের? আজ ভয়াবহ দখলদারী, দানবীয়, অনির্বাচিত সরকার জোর করে আমাদের ওপর চেপে বসে আছে এবং দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আমাদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন চালাচ্ছে। শুধু বিএনপি নয়, এ দেশের মানুষের ওপরে এই নির্যাতন চলছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনার ওপর মানুষের কোনো আস্থা নাই, আওয়ামী লীগের ওপরে কোনো আস্থা নাই। কারণ হচ্ছে, এরা এই দেশের মানুষের যে আশা, যে স্বপ্ন, যে আকাঙ্ক্ষা— সব ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। নতুন নয়, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যখন তারা ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা একই কাজ করেছিল। ১৯৭১ সালে আমরা যে যুদ্ধ করেছিলাম স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য, সর্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের জন্য, সেটাকেও তারা নস্যাৎ করে দিয়েছিল একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। আজকেও তারা গণতন্ত্রের মোড়কে এবং লেবাসে যেটা কায়েম করেছে, সেটা বাকশালের চেয়েও খারাপ। তখন স্লোগান ছিল, এক নেতা এক দেশ, শেখ মুজিবের বাংলাদেশ। এখন স্লোগান, এক নেতার এক দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।’

‘এটা এই দেশের মানুষ কেন সহ্য করবে? আমরা যুদ্ধ করেছি একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য। আমাদের প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার সমান। আমার যে সংবিধান, সেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, এই দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। আমি মালিক আর আমাকে তুমি পিটাচ্ছ? আমাকে সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করছ? এটা তো হতে পারে না’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এরা একেবারে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে ফেলেছে, দলীয়করণ করে ফেলেছে। আপনি কোথাও কোনো বিচার পাচ্ছে না, কোথাও কোনো মানবিকতা নাই, কোথাও কোনো নিরাপত্তা নাই। এভাবে চলতে পারে না।’

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সহ-সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক টিএস আইয়ুব, মোশাররফ হোসেন, দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ কৃষক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকশ’ নেতাকর্মী।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর