তুলে নেওয়া ১৮ লাখ টাকা ফেরত, ক্ষমা চাইলেন ইউপি চেয়ারম্যান
১৮ অক্টোবর ২০২১ ২২:১৮
গাইবান্ধা: প্রকল্পের নামে কাজ ছাড়াই তুলে নেওয়া সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন ৩নং দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ জেড এম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন। শোকজ নোটিশের পর উন্নয়ন প্রকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক হিসাবে এই টাকা জমা করা হয়। এছাড়া আয়কর বাবদ ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকাও জমা করা হয়েছে ব্যাংক হিসেবে। একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের অভিযুক্ত চেয়ারম্যান স্বাধীন শোকজের জবাবে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রোকসানা বেগম। তিনি বলেন, ‘শোকজের লিখিত জবাব গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) তার দফতরে জমা দেওয়া হয়। শোকজ জবাব তিনি গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রোখছানা বেগমের দফতরে পাঠিয়েছেন।’ এছাড়া উত্তোলন করা সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ও আয়করের আড়াই লাখ টাকা জমার কথাও জানান তিনি।
শোকজের নোটিশ পাওয়ার পর গত ৩ অক্টোবর ভ্যাট-আয়কর বাবদ ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৩ টাকা জমা ও ৬ অক্টোবর সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রশাসনের ভুমি হস্তান্তর বরাদ্দের তুলে নেওয়া সাড়ে ১৮ লাখ টাকা পরিষদের ব্যাংক হিসেবে জমা করা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. নুরজামান মিয়া বলেন, ‘সোনালী ব্যাংক সাদুল্লাপুর শাখার হিসেব নম্বরে এসব টাকা জমার রশিদ এবং ট্রেজারি চালানের কপি ইউএনওসহ ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। লিখিত জবাবে চেয়ারম্যান অভিযোগের ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনার কথা উল্লেখ করেছেন।’
এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে নথিপত্র যাচাই ও ব্যাংক হিসেবে প্রকল্প গ্রহণ ছাড়াই সাড়ে ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের আয়কর বাবদ ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা জমা না দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয় গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রোখছানা বেগম।
সারাবাংলা/এমও