নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় মামলা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
২৫ অক্টোবর ২০২১ ২০:৪৪
বগুড়া: দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এক ব্যক্তি পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় ওই ব্যক্তিসহ তার পরিবারকে মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ওই পরিবারের ৪ ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলা দেওয়া হয়েছে।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং এক এসআইয়ে’র বিরুদ্ধে থানায় ডেকে এনে নির্যাতানের পর অর্থ আদায়ের প্রতিবাদ করায় পরিবারটি হেনস্তার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ জানিয়েছেন, দুপচাঁচিয়া উপজেলার চকসুখানগাড়ি এলাকার মোটরসাইকেল মিস্ত্রি নুরে আলমের পরিবার। তারা জানান, নুরে আলম পুলিশের নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি এখন কারাগারে।
নুরে আলমের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন। তবে দুপচাঁচিয়া থানার ওসি জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
নির্যাতনের শিকার নুরে আলমের পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী জানান, গত ২৯ আগস্ট নুরে আলমকে এক এসআই থানায় ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ‘মিথ্যা মামলার হুমকি’ দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। এসময় তাকে নির্যাতন করা হয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়।
এর কয়েক দিন পরে নুরে আলম পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে এর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপরেই তারা হেনস্তার শিকার হন। নুরে আলমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এঘটনার পর অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ওসির পক্ষ থেকে নানা চাপ ও হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর দুপচাঁচিয়ার মিনি ট্রাক অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় নুরে আলমসহ তার ৪ ভাইকে অভিযুক্ত করা হয়।
এরপর ১৯ অক্টোবর আদালতে এই ৪ জনসহ নুরে আলমের চাচা বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের হয় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা। নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কারণেই তাদের বিরুদ্ধে থানার ওসির প্রভাবে মামলা ও হয়রানি করা হচ্ছে। এতে এক বালু ব্যবসায়ীকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
নুরে আলমের স্ত্রী তাদের হেনস্তাকারী ও তার স্বামীকে নির্যাতনকারীদের বিচার দাবি করে ন্যায়বিচার কামনা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে দুপাচাঁচিয়া থানার ওসি জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অভিযুক্ত নুরে আলম একটি গ্যাংয়ের সদস্য। তবে তার বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা ছিলো না বলেও স্বীকার করেন তিনি।
সারাবাংলা/এমও