ঢাকা: কুমিল্লার একটি পূজা মণ্ডপে হনুমান মুর্তির গদা সরিয়ে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় গত ১৩ অক্টোবর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। যা পরবর্তিতে দেশের আরও কয়েক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে এমন কিছু লোকের নাম জানা গেছে তাদের কে হয়ত অনেকেই চেনেন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টাস ফোরামের (বিএসআরএফ) নিয়মিত সংলাপে অতিথি হয়ে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি শুরু থেকেই বলেছি কুমিল্লায় মন্দিরে পবিত্র কোরআন রাখা কোনো হিন্দুর কাজ না। আমি দায়িত্ব নিয়ে অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। কারন কোনো হিন্দুর এই দুঃসাহস হবে না।
মন্ত্রী জানান, যে ছেলেটি হনুমানের গদা সরিয়ে পবিত্র কোরআন রেখেছে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আমরা মনে করছি কিছুদিনের মধ্যেই এর পেছনের কারণ জানতে পারব। নোয়াখালির ঘটনায়ও নাম জানা গেছে। এমন নামও শুনবেন যারা অনেকের পরিচিত। রংপুরের ঘটনারও নাম জানা গেছে। আমরা শিগগিরই জানাবো। আমরা এখন অফিসিয়ালি বলছি না। আরও নিশ্চিত হয়ে নাম প্রকাশ করবো।
উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাপূজার অষ্টমীতে কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড়ে একটি পূজা মণ্ডপ সংলগ্ন রাম সীতা মন্দিরে হনুমানের গদা সরিয়ে সেখানে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে কুমিল্লায় ব্যাপক সহিংসতা ঘটে। যা পরে নোয়াখালী, চাঁদপুর, রংপুরসহ অনেক জেলা-উপজেলা শহরে সে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে ইকবাল নামে এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে।