সময় নিল রবি কর্তৃপক্ষ, স্থগিত আন্দোলন
২৬ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৫১
সিরাজগঞ্জ: জেলার শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা বা কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানাতে আগামী ২৮শে নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সময় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন স্থগিত রাখবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টা থেকে প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রবি’র অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও রেজিস্ট্রারের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার মধ্যস্থতাকারী শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. শামসুজ্জোহা ও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আবু জাফর হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইউএনও শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, আজ (মঙ্গলবার) বিকাল ৪টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলীর একটি বৈঠক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ ফিরে আনার স্বার্থে আমি নিজেই মধ্যস্থতা করে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি এবং সেখানে উপস্থিতও ছিলাম। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার সমাধানে আগামী ২৮শে নভেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও সেটা মেনে নিয়ে আন্দোলন স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সভায় থাকা একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, যদি সেই অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে যে আইন প্রয়োগ করা হতে পারে, সেটি এখনো এখানে নেই। তাই সেই আইনটি প্রণয়ন করতে হবে। যার ফলে চাইলেও এখন কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। এছাড়াও তদন্তে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু জাফর হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন এবং আমরা সেই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর এ সময়ে অনুষ্ঠিত সকল পরীক্ষাতেও আমরা অংশগ্রহণ করবো।’
তিনি সভার বিষয়ে বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, তদন্তে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। আর অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যে আইন দরকার সেটি এখনো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রণয়ন হয়নি। তাই সেটা প্রণয়ন করতে সময় দরকার।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, আগামীকাল (বুধবার) যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি প্রতিনিধি দল এ ঘটনার তদন্তে আসবেন এবং এটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এখনো কিছু নিয়ম ও আইন প্রণয়ন করা হয়নি। তাই সেগুলোও এই সময়ের মধ্যে করতে হবে।
ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মৌখিকভাবে এটা শুনেছি, এর বেশি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।
সারাবাংলা/এনএস