স্কুলশিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ১ নভেম্বর থেকে
২৮ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৫০
ঢাকা: রাজধানীতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ঢাকায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য ১২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে।‘
তিনি আরও বলেন, গতকাল (বুধবার) ৫০ লাখ ভ্যাকসিন এসেছে, হাতে আরও দুই কোটি আছে। এসব দিয়ে আগামী ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা যাবে। একটু সময় নিয়ে সারাদেশেই শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আগামী নভেম্বরের আরও ৩৫ লাখ ফাইজারের ভ্যাকসিন আসবে।
আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন নিতে ভয় ভয় লাগছে’
এদিকে, মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে আজ ডিটেল আলোচনা হয়েছে কেবিনেটে। এ আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী অংশ নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত ছিল যে ঢাকার পূর্বাচলে স্কুল শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এটাতে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী আপত্তি করলেন যে পূর্বাচলে পুরো ঢাকা থেকে ৪০/৫০ হাজার ছেলে মেয়েকে নিতে গেলে এক হাজার থেকে ১২শ বাস লাগবে। সেটি সম্ভব না। সেই জন্য উনারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) অল্টারনেটিভ প্রপোজাল দিয়েছেন। ১২টি বড় জায়গা আছে এবং এই ইনস্টিটিউটগুলো এয়ারকন্ডিশন ফ্যাসালিটিজ আছে। তো এই ১২টি জায়গায় করা যেতে পারে।’
‘প্রধানমন্ত্রী তখন বললেন, আমাদের শেরাটনের উলটা দিকে যেটা আছে, ওটাও যোগ করা যেতে পারে। সিটি করপোরেশনের যে কমিউনিটি সেন্টারগুলো আছে, সেখানেও করা যেতে পারে। যেহেতু ১২টি কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়ে গেছে, এই ১২টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হোক। প্রয়োজনে আরও কেন্দ্র বাড়ানো হবে, ছেলে-মেয়েদের যেন বেশি দূরে যেতে না হয়,’— বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আরও পড়ুন- ‘প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে তিন লাখের বেশি রেজিস্ট্রেশন ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়ে গেছে। গতকালই আইসিটি বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তারা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়েই রেজিস্ট্রেশন করেছেন। কারণ, বাচ্চাদের তো এনআইডি নেই।’
এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। ওই দিন মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার চারটি স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বয়সী ১২০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
সারাবাংলা/এজেড/এসবি/এনএস
করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রয়োগ শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক