‘মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী ওষুধ নিশ্চিতে নীতিমালা হচ্ছে’
৭ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৫৬
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে যেন কোনো ভেজাল ওষুধ না থাকে ও মানসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী ওষুধ হয় তার জন্য আমরা নতুন একটি ওষুধ নীতিমালা করতে যাচ্ছি। এতে করে দেশের বাজারে অকারণে কেউ ওষুধের দাম বাড়াতে পারবে না।
রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনা মহামারি চলাকালেও কোথাও ওষুধের ঘাটতি দেখা যায়নি। গ্রাম পর্যায়েও ওষুধ ছিল পর্যাপ্ত। বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো দেশীয় চাহিদার ৯৮ ভাগ পূরণ করার পরও বিদেশে ওষুধ রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ এখন বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রফতানি করা হচ্ছে। এই ওষুধ বিদেশে রফতানির মাধ্যমে গত ছয় বছরে আয় ৫ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৩১ বিলিয়ন হয়েছে। পাশাপাশি দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে দেশের ওষুধ দিয়েই। গার্মেন্টস ফ্যাকটরির পর দেশের অন্যতম একটি বড় একটি আয়ের উৎস হতে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ভ্যাকসিনের কোনো ঘাটতি নেই। হাতে এক কোটির উপরে ভ্যাকসিন আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব মানুষকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেজন্যই আমরা ২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনে রেখেছি। সেখান থেকে এ মাসে অন্তত তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসবে। আগামী মাসেও একই হারে আসার কথা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে ইতোমধ্যেই অন্তত সাত কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই অন্তত ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। সেটি করা গেলে করোনায় মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় নামানো সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন প্রতিষ্ঠিত ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ও প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দেখেন। এ সময় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান, ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ তার সঙ্গে ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম